অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দরের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর যুক্ত হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে। আদতে এটি জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত হলেও এখন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে রাজ্যের হাইওয়ে ডিভিশন। বাংলাদেশ হোক বা শিলিগুড়ি, অসমের গাড়ি যাতায়াত করে এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার হাল বেহাল হওয়ায় চূড়ান্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সবাইকে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ- ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলা, মঙ্গলবার ফের দুর্যোগ ঘনাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে
দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় বরানগর মেট্রো স্টেশনের সামনে প্রায় ২ কিমি অংশে নানা জায়গা খানা খন্দে ভরে আছে৷ অন্যদিকে মাঠকলের কাছ থেকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপরে থাকা বিমানবন্দর সেতুর আগে পর্যন্ত রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ে আছে। ঠিক বিপরীত দিকের লেনে বরানগর স্টেশনের কাছে যে সাবওয়ে আছে সেখানেও তৈরি হয়ে আছে একাধিক খানা খন্দ। এই সাবওয়ের বিপরীতের রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে ৪০ সেকেন্ডের রাস্তা পেরোতে ২০ মিনিট লাগছে।
সাবওয়ের ছাদ ফুটো হয়ে ক্রমাগত জল পড়ে যাচ্ছে।রাস্তায় একাধিক বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর এখানেই প্রতিদিন গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। ফলে নিত্যদিন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে। যথাসময়ে ক্রেন না আসার কারণে সেই গাড়ি সরাতেও যথেষ্ট সময় লাগে। ফলে নিত্যদিন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকলকে।
এই অবস্থার কবে বদল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা। এক্সপ্রেসওয়ে দেখভালের দায়িত্বে আপাতত রয়েছে পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশন। তাদের বক্তব্য, রাস্তার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। প্যাচ ওয়ার্ক করা হবে। বর্ষা চলে গেলে পুরো রাস্তার কাজ হবে।স্থানীয় বাসিন্দা সমীর বরণ সাহা জানিয়েছেন, মাত্র আড়াই মাস আগে এই রাস্তা সংষ্কার করা হয়েছে। বছরে তিন, চার বার প্যাচ ওয়ার্ক করে মেরামতির নামে টাকা আসলে জলে দেওয়া হচ্ছেবলেই অভিযোগ।