ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে শ্বেতার পরিবার ৷ দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছিল এবং এর আগেও একাধিকবার শ্বেতাকে মারধর করেছে তাঁর স্বামী। শ্বেতার মৃত্যুর আগে বাবা ও মেয়ের মধ্যে ফোনে কী কথা হয়েছিল, সেই কল রেকর্ডও এখন সামনে এসেছে ৷
advertisement
এদিন নতুন করে ঝামেলা শুরু হলে, শ্বেতার বাবা তাঁর শ্বশুরবাড়ি বেলেঘাটায় যখন যান, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না মেয়েকে। পরবর্তীতে দরজা প্রায় জোর করে খুলেই যখন ঘরে ঢোকেন তিনি, দেখতে পান খাটের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শ্বেতা ৷ হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই শ্বেতা সাউকে খুন করেছে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ ! ভিজবে দক্ষিণও, উইকেন্ডে রাজ্যে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন
দশ বছর হয়েছে শ্বেতার সঙ্গে রোহিতের বিবাহের ৷ কিছু বছর আগে রোহিতের অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্যও শ্বশুরবাড়ি থেকে বলা হয়েছিল ৷ সেই নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা তৈরি হয়। দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে ৷ এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
পরিবারের লোকেদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৫ সালে শ্বেতা আর রোহিতের বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে। কিন্তু গত দু’বছর ধরে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ চলছিল। সাম্প্রতিক বিবাদ বাধে মেঘালয় ঘুরতে যাওয়া নিয়ে। মৃতার বাবার অভিযোগ, মেয়ের পুত্রসন্তান না হওয়ার জন্য তাঁকে ‘নির্যাতন’ করা হত। শ্বেতার পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।