ওই এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর এবং অন্যতম উদ্যোক্তা অঞ্জন পাল জানান, “দেখুন ইউনেস্কো ইতিমধ্যেই আমাদের দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। সেবারেই আমাদের এরকম ইউনিক একটা ভাবনা ছিল পুজোর। আমি কোনওভাবেই সিলিকনের দুর্গামূর্তি বিসর্জন দিতে চাইনি। আবার সেটাকে সংরক্ষণ করার মতো ক্ষমতাও আমাদের নেই। তাই আমার উদ্দেশ্য ছিল মা দুর্গাকে এমন একটা জায়গায় স্থাপিত করা যেখানে রাখলে দেশ-বিদেশের মানুষ দেখতে পারবেন। সেখানে দাঁড়িয়ে বিমানবন্দরের থেকে ভাল জায়গা আর কী হতে পারে ৷’’
advertisement
আরও পড়ুন- এবার হাতের নাগালেই কলকাতা ! পুরুলিয়ার থেকে বিমান ওড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্মান পেয়ে সারা বিশ্বে নাম ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুজোর। তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার স্থান পেল বাংলার দুর্গাপুজো। অঞ্জনবাবু জানালেন, “এর আগে আমাদের ২০২১ সালের প্রতিমা রবীন্দ্র সরোবরের আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে। এবারে আমাদের সিলিকনের প্রতিমা সারা ভারতে সাড়া ফেলেছিল। দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে আভ্যন্তরীণ অনুমতি নিয়ে আমাকে জানায়। তারপরেই গত ৯ মার্চ প্রতিমাটি স্থাপন করা হয় বিমানবন্দরে।’’
ইতিমধ্যেই প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ফটোসেশন। তবে প্রতিমা সংরক্ষণ করার জন্য চারদিকে রেলিং দেওয়ার কাজটা এখনও বাকি রয়েছে বলে জানালেন অঞ্জনবাবু। রেলিং দেওয়ার কাজ শেষ হলেই তৈরি করে দেওয়া হবে সেলফি জোন। দেশ-বিদেশের মানুষ যাতায়াত করার সময় চাক্ষুষ করতে পারবেন সিলিকনের মা দুর্গাকে।