আবীর ঘোষাল, আগরতলা: স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচানো যায়। কারণ রক্তের কোনও বিকল্প নেই। একমাত্র একজনের দান করা রক্তই পারে, অন্যজনের প্রাণ বাঁচাতে । এই মুহূর্তে রাজ্যে রক্তদানের স্বল্পতা মেটাতে যেভাবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সংগঠন এগিয়ে আসছে সেটা খুবই প্রশংসনীয়। আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ত্রিপুরায় ভারতীয় জনতা সদর আরবান যুব মোর্চার উদ্যোগে রাজধানীর বিদুরকর্তা চৌমুহনী সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান উৎসবের সূচনা করে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে রাজ্যে রক্তের কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের স্বল্পতার কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আর বিষয়টি নজরে আসার পরই সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া মারফতে রাজ্যবাসীর কাছে স্বেচ্ছা রক্তদানের আহ্বান রাখা হয়। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা সংগঠন রক্তদানে এগিয়ে আসায় তিনি সন্তোষ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, চক্ষুদান, মরনোত্তর দেহদান, শিক্ষাদান, বস্ত্রদান ইত্যাদি করা যায়। কিন্তু রক্তদান এমন একটি দান যার মাধ্যমে অন্যের অমূল্য জীবন রক্ষা করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে এই অমূল্য রক্তের যাতে কোনও ধরণের অপচয় না হয়। রক্তের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাও খুবই প্রয়োজন। এবিষয়টিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। এতেই স্বেচ্ছা রক্তদানের স্বার্থকতা আসবে।
আরও পড়ুন- এবার হাতের নাগালেই কলকাতা ! পুরুলিয়ার থেকে বিমান ওড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা
এই রক্তদান উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, যুব কল্যাণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া দত্ত, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি নবাদল বনিক, জেলা সভাপতি প্রসেনজিত ঘোষ, সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃবর্গ। এদিন রক্তদান শিবিরে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০২ জন কর্মী স্বেচ্ছা রক্তদানে অংশ নেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Manik Saha, Tripura