এই কারখানার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রশ্ন, যেখানে কারখানার ভেতর কোনও সামগ্রী নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেখানে কী করে কারখানা কর্তৃপক্ষই ভেতরে বাজি ফাটাল? কর্মীদের একাংশের দাবি, কারখানার মূল গেট দিয়ে ঢুকে ই বাঁদিকে একটি মন্দির রয়েছে সেখানেই দেদার বাজি ফাটানো চলছিল। যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন : কালীপুজোর আলো ফিকে! বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ২৬টি ইঞ্জিন
দীপাবলির উচ্ছ্বাস ম্লান করে সোমবার দুপুরে হঠাৎই আগুন লাগে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে৷ কমপ্লেক্সের আট নম্বর জোনের একটি কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন৷ চলে আগুন নেভানোর কাজ৷ ছবিতে দেখা যায়, কী ভয়ানক তীব্রতায় আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসছে বাইরে৷ এলাকা ঢেকে গিয়েছিল ধোঁয়ায়৷খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। কালীপুজোর দিনেই কার্যত ঝলসানো আগুনে আঁধার নেমে আসে লেদার কমপ্লেক্সে৷
আরও পড়ুন : আলোর উৎসবে আজও ওরা 'ঘরছাড়া', বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্তদের 'অন্ধকার' দীপাবলি!
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ছড়িয়ে ছিটিয়ে শ্রমিকদের ভিড়। রয়েছেন দমকল কর্মী থেকে পুলিশও। এই কারখানায় মূলত মানিব্যাগ এবং মহিলাদের চামড়ার ব্যাগ তৈরি হয়। আগুনে ভস্মীভূত কার্যত গোটা কারখানা। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে কারখানার ভেতরেই দীপাবলি উপলক্ষে বাজি ফাটানোর কারণেই যে বিধ্বংসী আগুন লাগার গুরুতর অভিযোগ কর্মীদের একাংশ করলেন সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে দমকল এবং পুলিশ। দমকল আধিকারিকদের তরফ থেকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বলা হলেও কারখানায় কোথাও কোনও পকেট ফায়ার রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ কী? উত্তর খুঁজছে দমকল।