গ্রাহকদের কাছে আমাদের আবেদন, ''আমরা পরিষেবা সচল রাখতেই চাই। কিন্ত খুব প্রয়োজন না থাকলে দয়া করে ব্যাঙ্কে আসবেন না। অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে সাহায্য নিন।" অফিসার সংগঠনের অন্যতম নেতা সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবার আবেদন জানিয়েছি, রোজ রোজ সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। কয়েক গুণ বেশি সংক্রমিত হচ্ছে ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা কারণ ব্যাঙ্ক পরিষেবার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলস্বরূপ মাঝে মাঝেই কিছু কিছু ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মুখ্যসচিবকে পাঁচ দিন আগেই আবেদন করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী কেও জানানো হয়েছে। গত দুই বারের মত এবারও যাতে করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া যায় যাতে অতি কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্যাঙ্কিং সার্ভিস চালু রাখা যায়।"
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তায় দাঁড়িয়ে মূর্তিমান আতঙ্ক, ভয়ে ঘরবন্দি চন্দ্রকোণা! কী হচ্ছে ওই এলাকায়?
সংগঠনের তরফে আবেদন করা হয়েছে। এক, বিশেষ অত্যাবশ্যক কাজ যেমন, টাকা বা চেক জমা,তোলা,চেক ক্লিয়ারিং ও গভর্নমেন্ট ব্যবসা তেই ব্যাঙ্কিং সীমাবদ্ধ রাখা। দ্বিতীয়, ১০ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত পরিষেবা চালু রাখা।তৃতীয়ত, সব ব্যাঙ্কেই ৫০% লোক নিয়ে কাজ।চতুর্থ, বুস্টার ডোজ প্রাথমিকতার ভিত্তিতে অন্যান্য ফ্রন্ট লাইন কর্মীদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: বাংলার বাসযাত্রীদের জন্য বড় খবর, প্রতিদিন ৩০ বাস কম চলবে 'এই' পথে!
ব্যাঙ্ক সংগঠনের অভিযোগ কারও কাছ থেকেই কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।করোনার আগের দুটি ঢেউয়ে বেশ কয়েকজন ব্যাঙ্ক কর্মচারী প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই ভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সংকটজনক জায়গায় চলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। তাই আবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই শহর কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ব্যাঙ্কের বেশ কিছু শাখা বন্ধ করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় যথাযথ কর্মী না থাকায় সব পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।