জানা গিয়েছে গোল্ড লোন বা বন্ধকের টাকা শোধ করেও গ্রাহক ফেরত পেলেন না সোনা। ব্যাঙ্কের লকার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে প্রায় কোটি টাকার সোনার গয়না। ভবানীপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (এসবিআই) বিরুদ্ধে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে গ্রেফতার তৎকালীন ক্যাশিয়ার অর্ণব বিশ্বাস।
advertisement
প্রতারণা মামলায় ইতিমধ্যেই পুলিশের নজরে রয়েছে ব্যাঙ্কের তৎকালীন ম্যানেজার থেকে অন্যান্য কর্মীরাও। ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের গয়না বন্ধক রেখে ভবানী পুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত (এসবিআই) ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: ভারতের ‘৫০০ টাকা’ কোন দেশে ‘১.৫ লাখ’ টাকার সমান বলুন দেখি…? চমকাবেন শুনলেই ‘নাম’!
শিয়ালদা এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিকা খাতুন তাঁর ছেলে ও মেয়েকে ডাক্তারি পড়ানোর জন্য ৫৭১.৭৫ গ্রাম সোনা ও ডায়মন্ডের গয়না বন্ধক রাখেন। বিনিময়ে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। এরপর ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাঙ্ককে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি। কিন্তু টাকা পরিশোধ হলেও সেই সময় গয়না ব্যাঙ্কের লকারেই গচ্ছিত রাখেন। ব্যাঙ্ককে জানানো হয় তারা বর্তমানে কলকাতার বাইরে থাকছেন, পরে কলকাতা এলে গয়না নেবেন।
২০২৪ সালে ওই পরিবার কলকাতা ফিরে আসেন। এরপরেই সিদ্দিকা ও তাঁর স্বামী ব্যাঙ্কে গিয়ে গয়না ফেরত চান। ব্যাঙ্ক থেকে নথি দেখিয়ে জানানো হয় যে এই গয়না আগেই তুলে নিয়েছেন নাকি তাঁরা। সেই মর্মে সিদ্দিকার সই করা নথি পর্যন্ত দেখানো হয় ব্যাঙ্কের তরফে। এরপরই এই দম্পতি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাঁরা। ভবানীপুর থানায় অভিযোগ করেন ওই দম্পতি। তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা বিভাগ।
তদন্তে নেমে হ্যান্ড রাইটিং পরীক্ষা করানো হয় সিদ্দিকার। এরপরেই বিশেষজ্ঞ রিপোর্টে কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি কড়া হয়, অভিযোগকারীর সই জাল করে গয়না লকার থেকে বার করা হয়েছে। অভিযোগ তুলে তৎকালীন ক্যাশিয়ারকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকবেন অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য যখন ঋণ নিয়েছিল তখন সোনার বাজার মূল্য ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। অভিযোগ করার সময় ছিল ৮০ লক্ষ। বর্তমান মূল্য ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।