পুলিশ সূত্রে খবর, শামিমের অভিযোগ বাংলাদেশি ওই মহিলা জাল ভারতীয় নথি তৈরি করে নিজের পরিচয় গোপন করে বিয়ে করে,পরবর্তীতে মারধর এবং খুনের চেষ্টা করা হয়।
এই অভিযোগের বিরুদ্ধেই ধৃত বাংলাদেশি মহিলার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮(৪) (কাউকে প্রতারণা করে অসৎ উপায়ে সম্পত্তি নেওয়া),
৩৩৮ (জাল নথি তৈরি করা), ৩৩৬ (জাল কোড ব্যবহার করা), ৩৪০(২) (কোন জাল নথি ব্যবহার করা), ১০৯ (খুনের চেষ্টা), ৬১ (২) (ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
advertisement
মহম্মদ শামিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৭ (কোন মহিলার সম্মতি ছাড়া ব্যক্তিগত কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা), ৩০৮ (২) (তোলাবাজি), ৩৫১ (১) (হুমকি বা ভয় ভীতি দেখানো) এবং ৩৫১ (৩) (অপরাধমূলক ভীতি দেখানো) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে করোনার সময়ে বাংলাদেশি ওই যুবতী মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় আসেন, সেই সময় খিদিরপুরের বাসিন্দা মহম্মদ ইশতিয়াক হামেদের সঙ্গে পরিচয় হয় পরবর্তীতে তাদের বিয়ে করে রাজারহাট থানা এলাকায় থাকতে শুরু করেন, সেই সম্পর্কের ধীরে ধীরে অবনতি হয়। সেই সূত্রে রাজারহাট থানার অভিযোগ করার জন্য গেলে সেখানেই পরিচয় হয় মহম্মদ শামিমের সঙ্গে। আলাপের পর এই যুবক নিজেকে এনজিও-এর সংস্কার কর্মী বলে পরিচয় দেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যুজুড়ে একাধিক শুটআউট! বন্দুক, গুলি যাচ্ছিল কলকাতা থেকে! বড় পর্দাফাস এসটিএফ-এর
তদন্তে নেমে পুলিশ সাহানাকে জেরা করে জানতে পেরেছে, জীবনের ঝুঁকি আছে এই অছিলায় রাজারহাট রাইগাছি এলাকায় ওই যুবতীকে ভাড়া বাড়িতে রাখেন ওই যুবক, এরপরেই মহম্মদ শামিম যাতায়াত করতে শুরু করে ওই বাড়িতে। যুবতীর অভিযোগ, তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে, এরপরেই বিভিন্ন অছিলায় সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দী করে পরবর্তীতে সেই সমস্ত ছবি যুবতীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ওই যুবক আরও তিন লক্ষ টাকা আরও দাবি করে, অনাদায়ে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরেই ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদ শামিমকে গ্রেফতার করে নারায়ণপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে আরও ২ দিন বাচ্চাদের পাতে গোটা ডিম, সিদ্ধান্ত রাজ্যের
শামিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নারায়ণপুর থানার পুলিশ জানতে পারে ২০২৩ সালে মার্চ মাসে সে প্রথম বিয়ে করে, ২০২৪ সালে তার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করে ওই যুবতী এমনকি বিয়ের পর থেকেই বিভিন্নভাবে প্রতারণা করতো রাজারহাট রাইগাছি বাসিন্দা ওই যুবককে এমনকি ২০২৪ সালে ডিসেম্বর মাসে মেডিক্যাল ভিসা করিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন ভিসার মেয়াদ জুন ২০২৫ পর্যন্ত রয়েছে, তার মধ্যেই তিনি অসাধু উপায়ে ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে ফেলেছেন, এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারী আধিকারিকেরা ওই বাংলাদেশি নাগরিকের হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে আধার কার্ড ইউএস ডলার সহ বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতা করা হয় ওই যুবতীকে।