TRENDING:

Jyotipriyo Mullick: দুয়ারে রেশন নিয়ে জটিলতা কাটাতে আসরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক 

Last Updated:

Duare Ration: সোমবার মিটতে পারে সমস্যা। ডিলারদের দাবির বাস্তব রূপ দেখতে চায় দফতর। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: দুয়ারে রেশন নিয়ে জটিলতা কাটাতে আসরে প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mullick)। বন দফতরের  দায়িত্ব সামলে তিনি তাঁর পুরনো দফতরের সমস্যা মেটাতে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৈঠক করেন খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ ও রেশন ডিলার সংগঠনের নেতা বিশ্বম্ভর বসুকে সঙ্গে নিয়ে।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
advertisement

সূত্রের খবর, আগামী সোমবার তিনি ফের বৈঠক করবেন খাদ্যমন্ত্রী ও রেশন ডিলারদের সংগঠনের সঙ্গে। সেখানেই বাস্তবিক কোনও উপায়ে সমস্যার সমাধান হবে তা ঠিক হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, দুয়ারে রেশন নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেছে রেশন ডিলারদের সংগঠন। বুধবার আদালত দুয়ারে রেশন চালুর অনুমতি দিয়েছিল।

উৎসবের মরশুমে, ভাইফোঁটা থেকে চালু হচ্ছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবেই কাজ শুরু করছে রাজ্যের দুয়ারে রেশন প্রকল্প। তবে বেশ কিছু বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়নি বলেই জানাচ্ছেন রেশন ডিলারদের সংগঠন। আদালত পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছে। যদিও রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কোথাও কোনও ভাবে পাইলট প্রজেক্ট আটকাচ্ছে না।

advertisement

আরও পড়ুন- ৭১ হাজার প্রদীপ জ্বালানো থেকে শুরু করে ১৪ কোটি রেশন ব্যাগ বিতরণ, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ কী কী আয়োজন?

খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেছেন, ‘‘তিন হাজারের কিছু বেশি দোকান থেকে ট্রায়াল হবে। বাড়ি বাড়ি যাবেন রেশন ডিলাররা। দু’জন মামলা করেছেন। সরকার তো করেনি। তাই ট্রায়াল হচ্ছেই। মূল অংশ শুরু হতে দেরি আছে। তার মধ্যে ডিলারদের সঙ্গে তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা চলবে। আমরা আপাতত দেখে নিতে চাই পরিস্থিতি কেমন।’’

advertisement

ইতিমধ্যেই প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমিশন বাড়ানো হয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠনের। বায়োমেট্রিক করতে হলে মিলবে আরও ২৫ টাকা কুইন্টাল প্রতি। এখন কমিশন মেলে প্রতি কুইন্টালে ৭৫ টাকা করে৷ ডিলারদের দাবি ছিল সব মিলিয়ে ২০০ টাকা। সেটি হয়েছে আপাতত ১২৫ টাকা। রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন জারি করে এটা জানিয়ে দিয়েছে। তবে কমিশন বাড়লেও এখনও মনঃপুত নয় রেশন ডিলারদের সংগঠন।

advertisement

দুয়ারে রেশন, অর্থাৎ মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে যাবে রেশন। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়েই দরকার রেশন ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি। আর এই গাড়ি কেনার জন্যে অর্থ কে দেবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে মতান্তর। রেশন ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, "ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা টাকায় গাড়ি কিনব না। প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ করে আমাদের পক্ষে গাড়ি কেনা সম্ভব নয়।"

advertisement

আরও পড়ুন- Viral Video: সিদ্ধার্থ মালহোত্রার ‘শেরশাহ’ ছবির ডায়লগ বলে নেট দুনিয়া কাঁপাল ২ বছরের শিশু ! দেখুন ভাইরাল ভিডিও

ডিলারদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকার গতিধারা প্রকল্পের আওতায় এক লক্ষ টাকা দিচ্ছে। সেই টাকায় গাড়ি কেনানোর ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার করে দেবে। আর বাকি টাকা দিয়ে যিনি গাড়ি নেবেন তিনি তো তার মালিক হয়ে যাবেন। রেশন সরবরাহের পাশাপাশি সেই গাড়িকে অন্য সময়ে তিনি কাজে লাগাতে পারবেন। আমরা তো সেই কাজে বাধা দিতে যাব না।" ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনার ব্যাপারে ১ লক্ষ টাকা সাহায্যের কথাও নোটিফিকেশন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তাদের কমিশনের অঙ্ক ২০০ টাকা করে দিতে হবে।

বর্তমানে কমিশন অবশ্য ৭৫ টাকা করে দেওয়া হয়। বাড়ি গিয়ে রেশন সরবরাহের জন্যে কর্মী ও অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে ১২৫টাকা বর্ধিত চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পণ্য সরবরাহের জন্যে হ্যান্ডলিং চার্জ দাবি করা হয়েছে৷ কারণ হিসাবে বিশ্বম্ভর বাবু জানিয়েছেন, রেশন দোকান বা গোডাউন থেকে কোনও বাড়িতে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে কিছু পণ্য নষ্ট হয়। তাই হ্যান্ডলিং চার্জ দাবি করা হয়েছে। তিনি অবশ্য তাদের দাবি পুনঃবিবেচনা করার দাবি জানিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে মাসে তাদের অতিরিক্ত ৪১৬৮০ টাকা খরচ হবে। সেই টাকার হিসাবে তারা বলছে, গাড়ির চালক ১২ হাজার টাকা। সহকারীর জন্যে ১০ হাজার টাকা। জ্বালানী বাবদ ২৫০০ টাকা। গ্যারাজ বাবদ ১৫০০ টাকা। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে ২০০০ টাকা। রোড ট্যাক্স বাবদ ৬০ টাকা। বিমা বাবদ ১০০০ টাকা। দূ্ষণ রোধে ২০ টাকা৷ ইএমআই বাবদ ১২৬০০ টাকা। ইতিমধ্যেই এই হিসেব তারা জমা দিয়েছেন রাজ্যের কাছে।দুয়ারে রেশন চালু হলেও ভৌগোলিক কারণে তা চালু করা হবে না পাহাড়ের দুই জেলায়। এমনকি, সুন্দরবনের ব-দ্বীপের একাংশেও তৈরি হয়েছে অসুবিধা৷  তবে যেখানেই পণ্য সরবরাহ করা হোক না কেন, পণ্য মেপে, ই-পস মেশিনে নথিভুক্ত করে তবেই তা দেওয়া হবে গ্রাহকদের।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দুর্গাপুজোর সময় অসুরের আরাধনা! জঙ্গলমহলের নানা গ্রামে কেন পালিত হয় দাসাই পরব?
আরও দেখুন

ডিলারদের একাধিক বক্তব্য থাকলেও রাজ্যের খাদ্য দফতরের কথায়, আগে শুরু হোক প্রকল্প। তার পরেই বোঝা যাবে সমস্যা কোথায় হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, "মাঠে নেমে আগে কাজ শুরু হোক। তারপরেই তো কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা যাবে। শুধু সমস্যাই দেখতে গেলে কোনও কাজ হবে না।" এই অবস্থায় আসরে নেমেছেন প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইতিমধ্যেই তিনি খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ ও রেশন ডিলার সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Jyotipriyo Mullick: দুয়ারে রেশন নিয়ে জটিলতা কাটাতে আসরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল