প্রশ্ন, তিনিও গুঁড়ো হলুদ পাইকারি করছে। এত কম দামের দিচ্ছেন কীভাবে? তিনি বললেন শেওড়াফুলি ও জোড়াবাগান থেকে কিনে আনছেন।পান্ডা বাবুর দাবি, ছোটখাটো ফুটপাত কিংবা রেস্টুরেন্ট, হোটেলরা এই হলুদ নিয়ে যায়। এখানেই তো চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার মতোই ব্যবস্থা।আদতে কী হলুদ রয়েছে ওতে? বিক্রেতা পান্ডার কথা অনুযায়ী, ৬০ টাকা কেজি হলুদের সঙ্গে যদি অর্ধেক হলুদ, অর্ধেক চাল এবং রং মেশানো হয়।তাহলে এক কেজি ওই হলুদের দাম কত পড়বে? ১ কেজি গোটা হলুদের দাম ৮০ টাকা হলে ৫০০ গ্রাম গোটা হলুদের দাম ৪০ টাকা। চাল অর্ধেক হলে, তার দাম হবে ১৫ টাকা। সঙ্গে বিদ্যুতের খরচ, শ্রমিক ইত্যাদি যোগ হবে। সঙ্গে যিনি ভাঙাচ্ছেন তার লাভও আছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাল বামেরা! বেনজির ঘটনা? প্রশ্নের মুখে সেই শিলিগুড়ি মডেল
এই সমস্ত কিছুর পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেজিতে ২০০ গ্রামের বেশি হলুদ নেই হয়ত! এমনও হতে পারে, অন্য কোন পাউডার এবং চাল গুঁড়ো দিয়ে ওরা হলুদ গুঁড়ো বানিয়ে মানুষকে খাওয়াচ্ছে ও ঠকাচ্ছে। আমাদের দেশে শতকরা ষাট শতাংশর বেশি মানুষ ছোটখাটো রেস্টুরেন্ট হোটেল কিংবা ফুটপাতের খাবারের দোকানগুলোতে খাবার খায়।
আরও পড়ুন: সিবিআই ফিরতেই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে এ কী কাণ্ড! এল পাঁঠা, আঁতকে উঠল এলাকাবাসী
খাদ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর প্রশান্ত বিশ্বাস বলছেন, 'এই গুঁড়ো হলুদে মেটালিন ইয়েলো মেশানো আছে। যা পেটে গেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে! এছাড়াও পারদ থেকে নানা রকমের ভারী পদার্থ থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই হলুদ খুব খারাপ। অন্যদিকে এর মেডিসিনাল গুণ মানুষ পাচ্ছে না। প্রতিদিন এই হলুদ খেয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'