মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে নিহত অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়না তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধান তথ্য জমা দিয়েছে সেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর তাতে ফাঁস লাগার কারণেই অর্জুনের মৃত্যু হয়েছে বলে ইঙ্গিত রয়েছে। আর তাতে পরিবারের তোলা খুনের অভিযোগ কার্যত খারিজই হয়েছে ময়না তদন্তের অনুসন্ধান রিপোর্টে। আর এরপরই হাইকোর্ট পরিবারকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার রাতেই অর্জুনের পরিবারের হাতে পাঠানো হয় তৃতীয় নোটিস। তদন্তের স্বার্থেই নিহত বিজেপির যুব নেতার দাদা আনন্দ চৌরাসিয়াকে ডাকা হয় চিৎপুর থানাতে।
advertisement
আরও পড়ুন: শরীরে এই ধরনের ব্যথা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে, সাবধান হন এখনই!
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ চিৎপুর থানায় পৌঁছে যান আনন্দ। সেখানে উপস্থিত বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যদের সামনে হাজিরা দেন আনন্দ। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা চলে এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
আনন্দের দাবি,
ভাই অর্জুনের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সম্পর্ক কেমন ছিল?
অর্জুনের মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেছিলেন কি না?
পাড়া বা এলাকাতে কোনও ঝামেলা অশান্তি হয়েছিল কি না?
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ থেকে চোখকে বাঁচানোর কথা কখনও ভাবেন? জানুন, নাহলে সমস্যা হতে পারে!
বাজারে কোনও ধার দেনা বা হুমকির কথা পরিবারকে কখনও বলেছিলেন কি না অর্জুন? এই সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয় বলে দাবি আনন্দ চৌরাসিয়ার। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশকে সহযোগিতা করছি।
শুধু আনন্দ নয়। এরপর তাঁকে সঙ্গে নিয়েই বিশেষ তদন্তকারী দলের দুই আধিকারিক ও এক মহিলা পুলিস কর্মী এসে উপস্থিত হন নিহত অর্জুনের বাড়িতে। সেখানে অর্জুনের মা ও পরিবারের অন্য মহিলা সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। আনন্দের দাবি, পুলিশ মায়ের কাছে অর্জুন সম্পর্কে বেশ কিছু জিনিস জানতে চেয়েছিল।
সূত্রের খবর, অর্জুনের মাস মাইনে কত? সেই টাকা কোথায় খরচ করতেন অর্জুন? পরিবারে কত টাকা দিতেন তিনি- এই যাবতীয় প্রশ্নের সন্ধান করেছেন তদন্তকারীরা। এমনকী অর্জুনের মায়ের কথাতে অবাকও হয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, অর্জুনের আয় ব্যয় নিয়ে কোনও ধারণা নেই তাঁর মায়ের। কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না অর্জুনের? তাতে পরিবারের কোনও আপত্তি ছিল কি না, এই সম্পর্কেও অবগত হতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা, সূত্রের খবর এমনই। তবে অর্জুনের পরিবারের দাবি তাঁরা সহযোগিতা করছেন তদন্তকারীদের। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন পরেও পরিবারের তরফে এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে তাঁদের আইনজীবী দেখছেন।
অমিত সরকার