দীপক হালদারের করোনার চিকিৎসা চলছিল এবং তিনি ইসিএমও (ECMO) সাপোর্টে ছিলেন। সফলভাবে তাঁর দু'টি ফুসফুস প্রতিস্থাপন করে কলকাতার এই সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এক অন্যন্য নজির সৃষ্টি করেছে। পূর্ব ভারতের মধ্যে কলকাতাতেই প্রথম সফলভাবে, এমন ফুসফুসের প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হল। এই অপারেশনের জন্য বিখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জারি স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের (Cardiac Surgery Doctor) নিয়ে গড়া হয়েছিল কার্ডিয়াক ক্রিটিকাল কেয়ার টিম (Cardiac Critical Care Team)।
advertisement
আরও পড়ুন-জোড়া গোলে নায়ক সুয়ারেজ, পিছিয়ে পড়ে জয় অ্যাটলেটিকোর
এই টিমে ছিলেন ডাক্তার কুণাল সরকার (Dr Kunal Sarkar), ডাক্তার সপ্তর্ষি রায় (Dr Saptarshi Roy), ডাক্তার অর্পণ চক্রবর্তী (Dr Arpan Chakraborty), ডাক্তার দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় (Dr Dipanjan Chatterjee), ডাক্তার মৃণাল বন্ধু দাস (Dr Mrinal Bandhu Das), ডা: তৃপ্তি তলাপাত্র (Dr Tripti Talapatra), ডা: আশুতোষ সমল (Dr Ashutosh Samal), ডা: সৌম্যজিৎ ঘোষ (Dr Soumyajit Ghosh), ডা: শ্রবণ কুমার (Dr Shravan Kumar), ডা: ঋতুপর্ণা দাস (Dr Writuparna Das), ডা: শৈবাল সাই (Dr Saibal Si), ডা: হীরক শুভ্র মজুমদার (Dr Hirak Suvra Majumder), ডা: দেবলাল পণ্ডিত (Dr Deblal Pandit), ডা: শৈবাল ত্রিপাঠী (Dr Saibal Tripathi) এবং ডা: সৌমাল্য মিত্র (Dr Soumalya Mitra)।
দীপক হালদার তাঁর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য ন্যাশনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন (NOTTO) এবং রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনে (ROTTO) নিজের নাম রেজিস্টার (Register) করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর পর ন্যাশনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে গুজরাতের সুরাতের ইউনাইটেড গ্রিন হসপিটাল (United Green Hospital) থেকে ফুসফুস দু'টি সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হয়। সুরাতের ৫২ বছরের মণীশ শাহ (Manish Shah) তাঁর এই অর্গ্যানগুলো দান করে গিয়েছিলেন। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি ব্রেইন ডেথে (Brain Death) মারা যাওয়ার পর তাঁর ফুসফুস কলকাতায় এনে দীপক হালদারের শরীরে তা প্রতিস্থাপন করা হয়।