TRENDING:

Bandan Raha Mysterious Death : ভাঁড়ের মণ্ডপ বানিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন, কলকাতার সেই প্রথম থিমশিল্পী বন্দন রাহার রহস্যমৃত্যু, মিলল ঝুলন্ত দেহ

Last Updated:

২০০১ সালে ভাঁড়ের প্যান্ডেল বানিয়ে কলকাতায় হইহই ফেলে দিয়েছিল এই পুজো। সেই থিম ছিল বন্দনের মস্তিষ্কপ্রসূত। ভাঁড়ের পান্ডেল দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: বাগুইআটি থেকে উদ্ধার কলকাতার দুর্গাপুজোয় থিমের প্রথম সফল রূপকার বন্দন রাহার ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার নিজের দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় শিল্পীর নিথর দেহ। গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির জগৎপুরের আদর্শপল্লিতে। তদন্তে বাগুইহাটি থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন শিল্পী। ২০০১ সালে কলকাতার কসবায় একটি সর্বজনীন পুজোয় থিমের প্যান্ডেল করে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বন্দন।
advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইহাটি আদর্শপল্লিতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ৫২ বছরের বন্দনের দাদা। কিছুদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বন্দনবাবু দাদার বাড়ি থাকতে আসেন।  তিনি অ্যালঝাইমার্স এবং অন্যান্য স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। দাদা বাড়ি ফিরে দেখেন, ভাইয়ের ঘর ভেতর থেকে বন্ধ। ভাইকে ডাকলেও কোনও উত্তর মিলছিল না। শেষমেশ বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফ্যান থেকে ঝুলছে ভাই বন্দনের দেহ। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে।

advertisement

বন্দন রাহার থিম-এ বোসপুকুরের ভাঁড়ের প্যান্ডেল

পুলিশ সূত্রে খবর, থিম শিল্পী বন্দন রাহার কয়েকবছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিবাহ বিচ্ছেদের অবসাদ এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হয়তো তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।

advertisement

আরও পড়ুন: পুরসভার 'নিয়োগেও' অয়ন-যোগ? ডায়মন্ডহারবারে চাকরি 'দুর্নীতি'তে নাম সল্টলেকের প্রোমোটারের!  

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী! মারাত্মক অভিযোগ মমতার

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আলোর উৎসবে শক্তির আরাধনা! দীপান্বিতা অমাবস্যায় জগন্নাথ-বড়মা মিলেমিশে একাকার
আরও দেখুন

'থিম' দুর্গাপুজো বলতে কসবার বোসপুকুর শীতলামন্দিরের পুজোর কথা মাথায় আসবেই। ২০০১ সালে ভাঁড়ের প্যান্ডেল বানিয়ে কলকাতায় হইহই ফেলে দিয়েছিল এই পুজো। সেই থিম ছিল বন্দনের মস্তিষ্কপ্রসূত। ভাঁড়ের পান্ডেল দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। কলকাতায় তার আগে চট, প্লাই বা কাপড়ের মণ্ডপ হত। সেই প্রথম 'অন্যরকম থিম'-এর পুজো দেখল তিলোত্তমা। ভাঁড়ের মণ্ডপ। সে'বছর পুজোর ক'দিন ভিড়ের চাপে বন্ধ হতে বসেছিল গড়িয়াহাট থেকে রুবিগামী রাস্তায় যান চলাচল। এর সম্পূর্ণ ক্রেডিট ছিল বন্দন রাহার। ১৯৯৮ সালে বোসপুকুর শীতলামন্দিরে বন্দনের প্রথম থিম ছিল ‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’। ২০০০ সালে ওখানেই করেন তাসের ঘর।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Bandan Raha Mysterious Death : ভাঁড়ের মণ্ডপ বানিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন, কলকাতার সেই প্রথম থিমশিল্পী বন্দন রাহার রহস্যমৃত্যু, মিলল ঝুলন্ত দেহ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল