এদিন জেরায় সতেন্দ্র সিআইডিকে জানায়, সতেন্দ্র-সহ মোট তিন জন অতনু ও অভিষেককে প্রথম গাড়ি করে নিয়ে আসে। এর পর কিছু দূর গিয়ে দ্বিতীয় গাড়িতে ভাড়াটে দুজন অপরাধী ছিল। ওই গাড়িতে চালক ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর থেকে দুজন অভিযুক্তর চলে আসে সতেন্দ্র অতনুদের গাড়িতে।এরপর দ্বিতীয় গাড়ির চালক সহ গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় গাড়ি ও গাড়ি চালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
advertisement
সিআইডি সূত্রে খবর, দ্বিতীয় গাড়ি চালকের মোবাইলের নম্বর মিলেছে। তার মোবাইল ট্র্যাক করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় গাড়ির চালক বেপাত্তা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ক্রাইম সিনারিও অনেকটাই বোঝা যাবে। কারণ কোথায় তাকে ছেড়ে ছিল? কোথায় গাড়ি এক্সচেঞ্জ হয়? যেখানে ভাড়াটে অভিযুক্তরা প্রথম গাড়িতে চলে যায়? গাড়ির মধ্যে কি কোনও কথোপকথন হয়েছিল? সেখানে চালক কি কিছু শুনেছিল? সেকারণে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। তবে সিআইডি সূত্রে খবর, এক জায়গা থেকেই দুটি গাড়ি ভাড়া নেয় সতেন্দ্র।
আরও পড়ুন: সেবক কালীবাড়িতে অভিষেক! পাহাড়ে চা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পথে নিলেন 'মায়ের' আশীর্বাদ
দ্বিতীয় গাড়ি থেকে প্রথম গাড়িতে বাকি অভিযুক্তরা আসতেই শুরু হয় মার্ডার অপারেশন। অতনু ও অভিষেককে গলায় দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। তবে সতেন্দ্র খুনের মোটিভ বা উদ্দেশ্য নিয়ে বিভান্তি মূলক তথ্য দিচ্ছে দাবি গোয়েন্দাদের। তাই দফায় দফায় তাকে জেরা চলছে। খোঁজ চলছে দ্বিতীয় গাড়ির চালকের। খুনের মোটিভ নিয়ে ধোঁয়াশা। কারণ গালিগালাজ বা পঞ্চাস হাজার টাকাই নয়। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। তবে দ্বিতীয় গাড়ির চালক সহ-গাড়িটি কেন ছেড়ে দেওয়া হল? গাড়ি চালক কি প্ল্যানের কথা বুঝতে পেরেছিলেন? নাকি চালক যাতে বুঝতে না পারে তাই দ্বিতীয় গাড়ির চালককে মাঝ পথে গাড়ি সহ ছেড়ে দেওয়া হয়? জেরা করে জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।