অপহরণের ইতিহাস বলছে, আর্থিক ভাবে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ হলে, সাধারণত অফিস শুরু হওয়ার আগেই হয়। বা তার কিছু সময় পরে অবধি হয়। কিন্তু ব্যাংক চলার পরে যত অপহরণ হয়েছে, তার মধ্যে শিরোভাগ সম্পত্তিগত, সম্পর্কের অবনতি জন্যই, বা টাকা লেনদেনের বিষয়ে পরিচিতদের মধ্যে অপহরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরম থেকে রেহাই দিতে এবার বৃষ্টি জেলায় জেলায়, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া! এবার ভাসবে পুজোও!
advertisement
সেই প্রায় প্রত্যেকটি অপহরণে অপহৃতদের ঘনিষ্ঠ জনেদের যোগ থেকেছে।এক্ষেত্রে তাই ছিল বলে গোয়েন্দাদের ধারণা । অপহরণ করে খুনের জন্য সবসময় একজন পেশাদার মানুষের দরকার হয়।সেই পেশাদার অনেক সময়, অতিরিক্ত টাকা পাওয়ার জন্য এই ধরনের টাকা দাবি করে থাকে।অন্যদিকে ফোনে পরিবারকে ব্যস্ত রাখা এবং তাদের সন্তান বেঁচে আছে সেটা বোঝাবার জন্যই এই ধরনের ফোন করে থাকতে পারে। যাতে দেহ অতি পচন হয়। সহজে চেনা না যায়।
আরও পড়ুন: 'সিবিআই তদন্তে খুশি নই', কোন ঘটনায়? ফের বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
অপরাধের পর মূল অপরাধী সত্যেন্দ্র চৌধুরী গা ঢাকা দিয়েছিল।সে এই অপরাধ করবে বলে জানত।অপরাধ করে পালাবে সেটাও স্থির করে রেখেছিল। তবে খুনের কারণ কী?এটাই বড় প্রশ্নের। সত্যেন্দ্রর বাইকের পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে ফেরৎ দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। শুধু পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য যে খুন করবে না। সেটা পরিষ্কার স্থানীয়দের অনেকের কাছেই।
তবে ২৪ তারিখ থানায় অভিযোগ হওয়ার পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।সেই অবহেলার দায়ে বাগুইহাটি থানার ওসি ,তদন্তকারী অফিসার সাসপেন্ড হয়েছেন। ইতিমধ্যে সিআইডি তদন্তের ভার নিয়েছে। সিআইডির তরফ থেকে দাবি করা হয়, সত্যেন্দ্র ও আর এক অপরাধী খুব শীঘ্রই গ্রেফতার হবে। খুনের কারণ হিসাবে একটা দিক বারে বারে উঠে আসছে। ২০১৫ সালে একটি গন্ডগোল হয়েছিল বলে খবর। সেই গন্ডগোলের কারণেই এতদিন পর এই ঘটনা কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।