বাগরি মার্কেট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মার্কেটের ভিতরের সিঁড়ি এমনকি বাথরুম পর্যন্ত লিজ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোথাও চলছিল দোকান। কোথাও আবার গুদাম। বাথরুমগুলিকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ফলে জতুগৃহ হয়ে ওঠে বাগরি মার্কেট। সোমবার, রাজ্য সরকারের কাছে প্রাথমিক রিপোর্টে জমা দেয় কলকাতা পুলিশ ও দমকল। জার্মানি থেকে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। এরকম বেনিয়মে তিনি ক্ষুব্ধ। বলেন, ‘এভাবে ব্যবসা তো রীতিমতো গুন্ডামি ৷’
advertisement
আরও পড়ুন
দলে বড় পদের লোভ দেখিয়ে সহবাস, দিল্লি থেকে বাংলার BJP-RSS নেতা
বাগরি মার্কেট সংক্রান্ত দমকল ও কলকাতা পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে নিয়ে এ দিন নবান্নে বৈঠকে বসে মন্ত্রিগোষ্ঠী। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে,
বাগরি মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্সও নেই।
মার্কেটে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা লোক দেখানো
আগুন নেভানোর ৯০ শতাংশ যন্ত্রই অকেজো
এখানে জলাধার আছে কিন্তু পাম্প নেই
নবান্নে বৈঠকে মন্ত্রিগোষ্ঠীর নির্দেশ, বাগরি মার্কেটের মালিকের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ উঠেছে, সে সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া যাঁরা ব্যবসা করছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে ৷ বাগরি মার্কেটের বাইরে কাদের মদতে ডালা বসানো হয়েছিল, সেটা পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে । এ ছাড়া, পুরসভা ও দমকলের নজরদারিতে কোনও গাফিলতি ছিল কি না তাও তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠী।
কলকাতার বাকি বাজারগুলির কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভা, দমকল এবং পুলিশকে। তাদের থেকে দ্রুত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বেনিয়ম দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠী। বুধবার নবান্নে ফের বৈঠক। তার মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট দিতে হবে দমকল ও পুলিশকে।