ফেসবুকে বাবুল লিখেছেন, ''আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা মাননীয় দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রদের অসাধারণ দলে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। আমার উপর যে দায়িত্ব দেওয়া হল, তা পালন করার জন্য আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করব।''
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলের লোকেরা যেন শিয়ালদহ মেট্রো না চড়ে, তাহলেই...', শর্ত দিলেন দিলীপ ঘোষ! কারণ কী?
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট মেটার কয়েক মাসের মধ্যেই, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে আচমকাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা মোদি সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি বাংলার শাসক দলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। পরে বালিগঞ্জ বিধানসভা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। এদিকে, গত বছরই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এর পর নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই কীর্তিকেও এবার জাতীয় মুখপাত্র করল তৃণমূল।
আরও পড়ুন: রথের মেলায় হঠাৎ বিকট আওয়াজ, ফেটে গেল বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার! রক্তে ভাসল দাসপুর
এদিকে, তৃণমূলে যোগ দেন মেঘালয়ের তৎকালীন বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা-সহ কংগ্রেসের ১২ বিধায়ক। মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১৮। ১২ বিধায়ক যোগ দেওয়ায় রাজ্যে প্রধান বিরোধীদল হয় তৃণমূল। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় এনডিএ-র ৪০ বিধায়ক। এবার সেই মুকুলও জাতীয় স্তরে তৃণমূলের হয়ে মুখ খুলবেন। তবে, সকলের মধ্যে বেশি আলোচনা চলছে বাবুল সুপ্রিয়র পদপ্রাপ্তি নিয়ে। তৃণমূলে বড় দায়িত্ব পাবেন বাবুল, এমনই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল তাঁর দলবদলের সময়। অনেকেই বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হবেন বাবুল। এখনও সেই ঘটনা না ঘটলেও ধীরেধীরে যে তৃণমূলে গুরুত্ব বাড়ছে তাঁর, তা বলাই বাহুল্য।