আরও পড়ুন : রাজনীতি 'ছেড়ে' BJP-র প্রচারে বাবুল, প্রার্থী না করে দায়িত্ব দেওয়া হল রুদ্রনীলকে
উল্লেখ্য, একটা লম্বা সময় পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরে প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Tibrewal) পরিচয় ছিল বাবুলের আইনজীবী হিসেবে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে অর্থাৎ বাবুল মন্ত্রী হওয়ার পরে বিজেপি-তে যোগ দেন প্রিয়ঙ্কা। পরে ২০২০ সালে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি হন তিনি। শুক্রবার সেই প্রিয়ঙ্কাকে বিজেপি ভবানীপুরে প্রার্থী করায় বাবুল লেখেন, তিনি এক সময়ে টিবয়েওয়ালকে দলে যোগ দিতে বলেছিলেন। ট্যুইটে প্রিয়াঙ্কার প্রশংসায় ‘সাহসী’, ‘যুক্তিবাদী’, ‘আত্মবিশ্বাসী’ ইত্যাদি প্রশংসাসূচক শব্দও ব্যবহার করেছেন সাংসদ। একই সঙ্গে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং বিজেপি-কে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানান আসানসোলের সাংসদ।
advertisement
শুধু তাই নয়, প্রিয়াঙ্কাকে উদ্দেশ্য করে আরও একটি ট্যুইটে বাবুল লেখেন, ‘জীবনে হার-জিৎটাই সব নয়। জীবন হল কঠিন যুদ্ধে লড়াই করার সাহস।’ বাবুলের এই মন্তব্যের পরেই এক দল নেটিজেন কটাক্ষ করতে শুরু করেন ট্যুইটারে।
বাবুলের ট্যুইটের সমালোচনায় মুখর হয় নেট দুনিয়া। এক জন লেখেন, ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিযায়। সাংসদ পদ ছেড়ে দেব, তার পর সাংসদ পদ থাকবে রাজনীতি ছেড়ে দেব কিন্তু ভবানীপুরে প্রচারে যাব।বাবুলদা সেরা গায়কের সাথে সেরা নাট্যকারের পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি তা বোঝা যাচ্ছে।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘আমি রাজনীতি করছি না। শুধু বিজেপি প্রার্থীর হয়ে একটু দালালি করলাম।আমি রাজনীতি তে আর নেই। শুধু কিছু কথা বলছি।’ আর এক জনে মন্তব্য, ‘এইসব কী বাবুল দাদা! তুমি নাকি রাজনৈতিক মঞ্চে যাবে না, রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলে! এই সব দু’টাকার কথা বলে দয়া আদায় করতে চাও নাকি!’ অবশ্য এদের বেশ কয়েকজনকে উত্তরও দিয়েছেন বাবুল। সকলের কাছেই প্রশ্ন রেখেছেন, ‘লম্বা দৌড়ে নিজেকে বোকা প্রমাণিত করার এত তাড়া কেন?’
এই উত্তরের মধ্যে দিয়ে তিনি কী ইঙ্গিত দিয়েছেন তা অবশ্য সময়ই বলবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এরপরই দলের তারকা প্রচারকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নাম রয়েছে বাবুলের। যা দেখে অনেকেই চমকে উঠেছেন। তাহলে কি আবার রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরলেন বাবুল?
