সঙ্গেসঙ্গে মমতা বলেন, ''বাবুল তুমি এটা করো না, এটা তুমি করতে পারো না। এটা একটা পলিসি ডিসিশন।'' এরপরই আর মুখ খোলেননি বাবুল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''আপনারা লোক ধরে আনুন ব্যবসা করার জন্য।'' ওরিয়েন্টাল চেম্বার অফ কমার্সের উদ্দেশ্যে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''আমাদের রাজ্যে যা সুযোগ আছে, এখনো অনেক জায়গা আছে যেগুলো এক্সপ্লোর করা হয়নি।''
advertisement
আরও পড়ুন: চায়ের দোকান থেকে হিড়হিড় করে তুলল গাড়িতে, অপরহণ CPIM নেতার! তোলপাড় বাংলা
প্রসঙ্গত, বাবুল সুপ্রিয় গানের পাশাপাশি রাজনীতিতেও তাঁর দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে বাবুল সুপ্রিয় মোদি সরকারে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাবুল বিজেপি ত্যাগ করেন এবং তৃণমূলে যোগ দেন। বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একসময়ের 'পোস্টার বয়' বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারে মন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: নবান্নে ঢুকেই আমচকা এ কোথায় গেলেন মমতা! চরম ক্ষুব্ধ, ফাঁকা চেয়ারেও উষ্মা
বাবুল সুপ্রিয় প্রথম জীবনে একজন ব্যাঙ্কার হিসাবে তাঁর যাত্রা শুরু করেছিলেন। গানের জগতেও দক্ষতা প্রমাণ করেন। যোগগুরু রামদেবের সংস্পর্শে আসার পর বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হওয়ার সুযোগ পান। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ত্যাগ করেন এবং তৃণমূলে যোগ দেন।
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির হাত ধরে তাঁর রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করেন। আসানসোল আসন থেকে তৃণমূলের দোলা সেনকে পরাজিত করেন। এরপর বাবুল কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী হন। ঠিক ২ বছর পর ২০১৬ সালের জুলাইয়ে মন্ত্রিসভা রদবদলের সময় তাঁকে ভারী শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে, দলবদলের পর বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বাবুলকে প্রার্থী করেন মমতা। সেখান থেকে জিতে আসার পর তাঁকে পর্যটন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।