গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগদানের পর, মাত্র সাড়ে ১০ মাসে দলে বাবুলের এই উত্থান রীতিমতো চোখে পড়ার মতোই। এই মুহূর্তে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবেই শুধুমাত্র গন্য হচ্ছেন না তিনি, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়পাত্র হিসেবেও নাম উঠে আসছে বাবুলের। বুধবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নেত্রী ও অভিষেকের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন বাবুল সুপ্রিয়।
advertisement
বাবুলের কথায়স 'দিদি তো আছেনই। অভিষেক যে ভাবে পাশে থেকেছেন, সাহস জুগিয়েছেন, দলের অন্য বড় বড় নেতারাও যে ভাবে পাশে থেকেছেন... ধাপে ধাপে এগোতে সাহায্য করেছেন। ভগ্ন হৃহয় নিয়ে গত ৩ অগাস্ট রাত শেষ হয়েছিল। আজও ৩ অগাস্ট। আর কিছু বলব না। দিশা খুঁজে পেলাম, খুব ভাল লাগছে।' রাজনীতির প্রথম ইনিংসটা যেমন ঝোড়ো ব্যাটিং করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, দ্বিতীয় ইনিংসেও সাফল্য পেতে বেশি দিন অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে৷ আসানসোলের সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে সবাইকে অবাক করেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন৷ তার পর বালিগঞ্জ থেকে জিতে বিধায়কও হয়েছিলেন৷ আর এ দিন রাজভবনে রাজ্যের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল৷
আরও পড়ুন: সন্তানের ওজন বেশি? উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছোট থেকেই ধরছে, জানুন
এ দিন রাজভবনে সপরিবারেই শপথ নিতে হাজির হয়েছিলেন বাবুল। তাঁর বড় মেয়েও উড়ে আসেন মুম্বই থেকে। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও খোশ মেজাজেই দেখা যায় বাবুলকে। অথচ বিজেপি-তে থাকাকালীন এই ব্রাত্যর সঙ্গেই একাধিক বার বাদানুবাদে জড়িয়েছেন বাবুল। তবে পুরনো স্মৃতি আর ঘাঁটতে চান না বাবুল।