কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে বাংলায়। তাহলে কেন এত হিংসা, মৃত্যু? বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের অভিযোগ, ‘পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেই বাহিনীকে সঠিকভাবে মোতায়েন করা হয়নি রাজ্য সরকার। স্পর্শকাতর বুথ কত? সেই তথ্য গোপন করা হয়েছিল’।
আরও পড়ুন: ভোটও দিতে পারেননি, এবার দিলীপ ঘোষের নিজের বুথে তৃণমূলের জয়জয়কার!
advertisement
এরপরই ট্যুইট করেন বাবুল। লেখেন, ‘বাংলায় পায়ের তলার শক্ত মাটি পেতে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে বিজেপিকে। প্রমাণ ছাড়া তাঁদের এই আক্রমণ সত্যিই অসাধারণ, আশ্চর্যজনক নয় যদিও’। বাবুলের সংযোজন, ‘প্রত্যাখানের ভয়ে খড়কুটো আঁকড়ে ধরছে’।
আরও পড়ুন: নিজের ঘরেই হার আরাবুল ইসলামের! গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে বললেন, ‘হতেই পারে!’
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক পর্যালোচনায় তৃণমূল মনে করছে, ২০১৯ ও ২০২১ সালে উত্তরবঙ্গের যে সব জায়গায় ভাল ফল করেছিল বিজেপি, সেখানে জমি দুর্বল হল বিজেপির৷ এই পঞ্চায়েতে কোচবিহার ছাড়া আর কোনও উত্তরের জেলা নিয়ে তথাকথিত অভিযোগ করেনি বিরোধীরা। এমনকি আলিপুরদুয়ার জেলা, যা চা-বলয়ের ভোট৷ সেখানেও ফল ভাল তৃণমূলের।
জঙ্গলমহল বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভাল ফল করল তৃণমূল কংগ্রেস। কুড়মি ভোটের ময়দানে প্রভাব পড়ল না বলেই তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে৷ বিশেষ করে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মতো জেলায় যেখানে ধারাবাহিক ভাবে খারাপ ফল হয়েছিল, তা বদল হচ্ছে বলে মনে করছে শাসক দল।