advertisement
আরও পড়ুন: 'শুনে নিন...', ফের বিস্ফোরক তথাগত রায়! হারের ক্ষতের মাঝেই বড় বিড়ম্বনা BJP-র
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা এবং খড়দহ উপনির্বাচনের ফল। আর তাতে শান্তিপুর বাদে বাকি তিন কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। রাজস্থান, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা নগর হাভেলি এবং হিমাচল প্রদেশেও উপনির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে নরেন্দ্র মোদি–অমিত শাহের দল। এরপরই তৃণমূল নেতারা একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন। তাতে সমানতালে যোগ দিয়েছেন বাবুলও। ট্যুইটারে বাবুল লিখেছেন, ''বাংলার উপনির্বাচনে দারুণ জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিনন্দন। আর তাঁদের যা প্রাপ্য, সেটাই পেয়েছে বিজেপি। দেখব দলের অনুগত কর্মীদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার, পিছন থেকে ছুরি মারা জনতা বিরোধী দলের অযোগ্য নেতারা ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কত আসন জিততে পারে।''
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে বহাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, বাংলার বাজিপ্রেমীদের জন্য বড় সুখবর
বস্তুত দলে থাকাকালীনও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংংশের সঙ্গে অহিনকূল সম্পর্ক ছিল বাবুলের। বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডা চলত তাঁর। সেই বাবুল মঙ্গলবার ট্যুইটারে আরও লিখেছেন, ''‘যে BJP নিজের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, হেনস্থা করেছে, পিছন থেকে ছুরি মেরে চলেছে, তারা ভারতের নাগরিকদের জন্য আর কতটা ভালো করতে পারে! দলের জন্য ঘাম ও রক্ত দিয়েছে দলের কর্মীরাই। সকলে দেখে নিন BJP-র কতজন প্রবীণ নেতা এখন দলেরই তীব্র বিরোধী।''
আরও পড়ুন: BJP-তে 'ফর্মে' ফিরছেন তথাগত রায়? রাজীবের দলবদলেও বিস্ফোরক ট্যুইট! নিশানায় কে?
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদ হারিয়ে বাবুল সুপ্রিয় ঘোষণা করেছিলেন, আর রাজনীতির জগতে থাকবেন না তিনি। সংযোজন করেছিলেন, তাঁর নির্দিষ্টভাবে একটাই দল, একটা বিশ্বাসেই তাই তিনি বিশ্বাসী থাকতে চান। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের (Babul Supriyo) সেই ঘোষণা অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। BJP ছেড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সরাসরি তিনি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। আর তারপর থেকেই বিজেপি-র অন্য়তম সমালোচকের নাম তাঁদের দলের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।