এবিএস ইনফোজেন প্রাইভেট লিমিটেড নামে এই সংস্থা ২০০৬ সালে হুগলিতে পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের অধীনে নিয়োগের বরাত পেয়েছিল। ২০০৬ সালে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগের চাকরির জন্য আবেদন জমা পড়েছিল এক লক্ষ কুড়ি হাজার। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য অয়নের সংস্থা ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পায়।
আরও পড়ুন: পড়াশোনায় মেধাবী, ইঞ্জিনিয়ারিংও পাশ করেছে, তাঁর মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ, দাবি শ্বেতা চক্রবর্তীর বাবার
advertisement
আর তার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি বাম আমলেও নিয়োগে গরমিল হয়েছে? চাঞ্চল্যকর তথ্য অবশ্য এটা স্পষ্ট করে দিচ্ছে ২০০৬ সাল থেকেই অয়নের সংস্থা নিয়োগের ক্ষেত্রে হাতে খড়ি হয়েছিল।বাম আমলেও ওই সংস্থার প্রভাব ছিল বলে নিয়োগের নথি স্পষ্ট করে দিচ্ছে। আর তা নিয়েই কার্যত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: শুধু অয়ন শীল নয়, অয়নের বাবা ও ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নজর ইডি-র
বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অয়ন শীল। তদন্তকারীরা জেরায় অয়ন শীলের সংস্থা থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছেন। শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নয়, পৌরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে অয়ন শীলের সংস্থা। একের পর এক পৌরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা ইডি তদন্তকারীদের তদন্তে উঠে এসেছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও অয়নশীলের সংস্থা কীভাবে কাজ করেছে তাও ইডির তদন্তে উঠে এসেছে। স্কুলের পাশাপাশি পুরসভাতেও যে নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে সেই বিষয়টি ইতিমধ্যেই সিবিআইকে জানিয়েছে ইডি। ইডি দাবি করেছে, মানিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে অয়নরা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। আর একদিকে যখন এই দুর্নীতির তদন্ত চলছে তখন বাম আমলের এই নথি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, ইডির তদন্তেও এই বিষয়টিও উঠতে চলেছে। এ ছাড়াও আর কোন কোন দফতরের নিয়োগের ক্ষেত্রে অয়ন শীলের সংস্থা কাজ করেছে, তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।