জানা গিয়েছে, রাজারহাট, নিউটাউন, ভাঙড় সহ একাধিক জায়গায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে অয়ন শীলেরর। রয়েছে দুটি কোম্পানি, প্রোডাকশন হাউস ও পেট্রোল পাম্পও। শুধু অয়নেরই নয়, তাঁর ছেলে ও বাবার অ্যাকাউন্টেও এখন নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের। তাঁদের প্রশ্ন, কোথা থেকে এত বিপুল পরিমাণ টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছেন অয়ন? উপার্জনের উৎসটা কী? এর মধ্যেও কি গিয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা?
advertisement
অন্যদিকে, ইডি-র তদন্তে উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। তল্লাশি চালানোর দিন, অয়নের সল্টলেকের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিনেই প্রথম ছেঁড়া omr শিট দেখতে পান গোয়েন্দারা! সেই শিট ছিল পুরসভার নিয়োগের পরীক্ষার। সূত্রের খবর, সেখান থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরসভায় নিয়োগ দূর্নীতির বিপুল তথ্য পায় ইডি। জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০টিরও বেশি পুরসভায় ৬ হাজারের বেশি মানুষের বেনিয়মে চাকরি হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা।
অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। এই ৬০টি পুরসভার তালিকায় কোন কোন পুরসভা ছিল, অয়নের সংস্থা ABS Infozone pvt ltd -এর অফিসে ই-মেল করে সেগুলির নাম বিশদে জানতে চেয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন: নামমাত্র খরচে ট্রেনে ঘুরে আসুন অসম-অরুণাচল! এসে গেল ভারত গৌরব ট্রেনের বিশেষ ট্যুর প্ল্যান
গোয়েন্দারা মনে করছেন, কামারহাটি, পানিহাটি, হালিশহর, বরাহনগর, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম-সহ মোট ৬০টি পুরসভা ছিল এই দুর্নীতির আওতায়। তবে সব পুরসভার নাম সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অয়নের কোম্পানি যেহেতু omr শিট প্রিন্ট করানোর টেন্ডার পেতেন, ফলে এই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়নের ভূমিকা যে রয়েছে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা।
পাশাপাশি, ৩টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাছেও অয়নের ব্যাঙ্কিং ট্রানসাকশানস ও অ্যাকাউন্ট ডিটেলস জানতে চেয়েছে ইডি। মূলত, ইডি আধিকারিকরা অয়নের কলেজ স্ট্রিটের একটি printing press e OMR Sheet print করতেন অয়ন। এছাড়াও, অন্যান্য প্রেসে প্রিন্ট হত। সেই প্রিন্টিং প্রেসগুলিও এবার ইডির নজরে।
ARPITA HAZRA