জানা গিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর বাঘাযতীন পল্লীর অঞ্জু দাস বাড়ির কাছে একটি ব্যাংকের এটিএম-এ টাকা তুলতে যান। অঞ্জু আইটিআই কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ছিলেন। তিনি এটিএম-এ টাকা তোলার প্রক্রিয়া ঠিকঠাকভাবে জানতেন না। যার জন্য এটিএমে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবকের সাহায্য নেন। সেই যুবক অঞ্জু দাসের এটিএম কার্ড নিয়ে পরিবর্তন করে অন্য একটি এটিএম কার্ড মেশিনে ঢুকিয়ে অঞ্জু দাসকে এটিএম পিন নম্বার দিতে বলে। অঞ্জু দাস পিন নম্বর দিলে টাকা ওঠেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: চার-পাঁচদিন ধরে নাগাড়ে দাঁড়িয়ে আছে 'সে'! চরম আতঙ্ক রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে
ছেলেটি অঞ্জু দাসকে এটিএম কার্ডটি হাতে দিয়ে বলে, তার এটিএম কার্ড কাজ করছে না। তারপরই অঞ্জু দাস বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মোবাইলে সাড়ে ন'হাজার করে দুবার ও একবার ১০০০ টাকা তোলার মেসেজ আসে। মুহুর্তের মধ্যে কুড়ি হাজার টাকা উঠে যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। তারপর অনলাইন জিনিসপত্র কেনে ওই প্রতারক। মোট ৬২ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে চলে যাওয়ার পরে। সঙ্গে সঙ্গে অঞ্জুর ছেলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অভিযোগ দায়ের করে।এবং স্থানীয় যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: জয়ের গন্ধ গোয়ায়, পাহাড় থেকে ফিরেই চমকের সফর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের!
প্রতারক অঞ্জুর হাতে যে এটিএম কার্ড দিয়ে দিয়েছিল, সেই এটিএম কার্ডের তথ্য অনুসারে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, ছেলেটির বাড়ি কসবা এলাকায় এবং ছেলেটির ছবিও পেয়ে যান তাঁরা। সমস্ত কিছু থানাতে দেওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত বৃদ্ধার ওই টাকা উদ্ধার সংক্রান্ত তদন্তে গতি আসেনি বলে দাবি অঞ্জুর পরিবারের।