লালবাজার অভিযান কর্মসূচির আগে তর্জন-গর্জন চলল বটে। কিন্তু, ততটা কি বর্ষাতে পারল গেরুয়াশিবির? দিনের শুরুটা অবশ্য বামেদের স্টাইলেই করেছিল বিজেপি। বাম বিধায়কদের মতো পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে লালবাজারে ঢোকার চেষ্টা করে কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক।
দুপুর ১২.৩০
লালবাজারের সামনে দিয়ে বাস চলাচল করছিল। আচমকাই তিনটি বাসে চড়ে রাজ্যের পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে ঢুকে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ অবশ্য তাদের আগেই আটকে দেয়।
advertisement
দুপুর ১
চোরাগোপ্তা অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর ময়দানে নামেন বিজেপি নেতারা। হাওড়ার দিক থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। টি বোর্ডে পুলিশের কাছে বাধা পায় মিছিল। বিক্ষোভকারীদের বোমা বা পুলিশের জনকামান-কাঁদানে গ্যাস বা লাঠিচার্জে টি বোর্ড চত্বর তখন রণক্ষেত্র।
প্রবল উত্তেজনা লালবাজার অভিযানে, আটক বিজয়বর্গী-লকেট সহ বহু বিজেপি কর্মী
অবশ্য এতকিছুর মধ্যে দিলীপ ঘোষকে পাওয়া যায়নি। উত্তেজনা বাড়তেই ময়দান ছেড়ে ওই এলাকায় থাপার হাউস নামে একটি বহুতলে ঢুকে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পরে দিলীপ বিক্ষোভে যোগ দিলেও তা আর জমে ওঠেনি। পুলিশ তাঁকে আটক করে।
আচমকা লালবাজারে হাজির বিজেপি, আটক বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী
ধর্মতলার দিক থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহা। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ দু’জনকেই আটক করে।
কলেজ স্কোয়ারের দিক থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গী। ফিয়ার্স লেনে সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। আটক করা হয় কৈলাস বিজয়বর্গীকেও। আটক করা হয় কয়েকজন কর্মীকেও। পুলিশকে জুতো নিয়ে আক্রমণ করেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা।
বিজেপির মিছিলে বোমাবাজি, চলল জলকামান-লাঠি
লালবাজার অভিযান সফল করার মরিয়া চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীদের একাংশ। নেতানেত্রীদের আটক করার প্রতিবাদে লালবাজারে ফের জমায়েত করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।