বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই রামধনু জোট নিয়ে কটাক্ষ হানেন। তিনি বলেন, ” কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ভোটের সময় কটা মিটিং ডেকেছিলেন? চিরকুটে বদল হয়েছিল আধিকারিকদের মধ্যে।” এরপরেই নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “ঘটনা ভুলে গেছেন? আলো বন্ধ করা হয়েছিল। দু ঘন্টা আলো বন্ধ হয়ে গেল কেন?” এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী -সহ বিজেপি বিধায়করা দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। উত্তরে মমতা বলেন, “গণনা কেন্দ্র নিয়ে আমার বলার অধিকার আছে। রেজাল্ট বদলে গেল নন্দীগ্রামে। ত্রিপুরায় সবার গাড়ি ভেঙেছে। ভুলে গিয়েছেন?”
advertisement
আরও পড়ুন : ২ লক্ষ টাকায় নিজের সন্তান বিক্রি…? নরেন্দ্রপুরে গ্রেফতার মা! ফাঁস হল ‘বিরাট’ সত্যি
এদিন তাঁর পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্যে মমতা বলেন, “রামধনু জোট ভাগাভাগি করে লড়েছিল। আর আমরা একা লড়েছি।” মমতা আরও বলেন, “এবারে ৮৭.৮০% মনোনয়ন জমা হয়েছে। ৩৮৯ অবজারভার নিয়োগ হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৬৯৬ পুনর্নির্বাচন করেছে। এরপরেই বিরোধীদের আক্রমণ করে মমতা বলেন, “ভোটের সময় ব্যালট বক্স কে জলে ফেলে দিয়েছিল? পরিকল্পনা কে করেছিল? কে বলেছে ৩৫৫ করব? আপনারা আর আছেন ৬ মাস। কাকে কার্পেট বোম্বিং করবেন? মানুষকে?’
আরও পড়ুন : দাম তো কমছে, স্বাদ ‘ভ্যানিশ’ ইলিশের… মন খারাপ বাঙালির! কবে ঢুকবে পদ্মার ইলিশ বাংলায়?
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই কাগজ ছিড়ে প্রতিবাদ দেখতে শুরু করে বিজেপি। কালো কাপড় দেখতে শুরু করেন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা ভাষণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সোচ্চার হন বিজেপি বিধায়করা।
একইসঙ্গে বার বার এদিন মিডিয়ার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, “গণতন্ত্র রোধ হয়নি এই রাজ্যে। এটাই একমাত্র রাজ্য যেখানে মিডিয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে বিজেপির খবর করতে বলা হয়।