বিজেপি-র আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দিলেও প্রবল হই হট্টগোলের জন্য বেলা দুটো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা৷
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে যেমন বিধানসভার অন্দরে সরব হন, তখন পাল্টা বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে করা বিরোধী দলনেতার মন্তব্য নিয়ে পাল্টা সরব হন শাসক দলের বিধায়করা৷ এ দিন অধিবেশনে অখিল গিরি নিজেও হাজির ছিলেন৷
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ সিবিআই-এর! চাকরি প্রাপকদের তলব, তুঙ্গে আলোড়ন
তবে বিজেপি মুলতুবি প্রস্তাব আনলেও তা খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ৷ অখিল গিরির মন্তব্যের বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন বলে তা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন স্পিকার৷ যদিও অধ্যক্ষের এই যুক্তি মানতে চাননি বিরোধী দলনেতা৷
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার বিচারাধীন বিষয় হতে পারে না৷ এর থেকেই পরিষ্কার শাসক দল কীভাবে বিধানসভাকে পরিচালনা করছে৷ যতদিন মুখ্যমন্ত্রী এই কালিমালিপ্ত বিধায়ককে বয়ে বেড়াবেন, ততদিন আমাদের প্রতিবাদ চলবে৷' এ দিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি গলায় ঝুলিয়ে বিধানসভায় এসেছিলেন বিজেপি বিধায়করা৷
আরও পড়ুন: 'কয়লা ভাইপো'র ছেলে কে? শিশু সুরক্ষা কমিশনকে পাল্টা প্রশ্ন শুভেন্দুর! দিলেন জবাব
যদিও শুভেন্দু অধিকারী নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে বিধানসভায় রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অখিল গিরি৷ বিধানসভায় তিনি বলেন, 'আমি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছি, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং ব্যথিত৷ বিজেপি এটা নিয়ে বিশেষ করে বিরোধী দলনেতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এটাকে নিয়ে জলঘোলা করছে৷ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষমা চেয়েছেন৷ বিরোধী দলনেতা নিজে যা করছেন, এটা তাঁর স্বার্থসিদ্ধির জন্য৷ '
তৃণমূলের পক্ষ থেকেও পাল্টা বীরবাহা হাঁসদার উদ্দেশে করা মন্তব্যের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন৷ বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, 'রাষ্ট্রপতি সবার শ্রদ্ধেয়। দলব চেয়েছে। সংসদীয় দল ক্ষমা চেয়েছে। বিরোধী দল অধিবেশন চালাতে দিচ্ছে না। বীরবাহা হাঁসদা আমাদের সদস্য। তিনি একজন মহিলা, তাঁকেও তো অপমান করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁকে জুতোর নীচে রাখবেন বলেছেন। বিরোধী দলনেতাকে বিধানসভায় ক্ষমা চাইতে হবে।'