অভিযোগ পত্রে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি অন্য স্টুডেন্টদের সঙ্গে ইউনিয়ন রুমেই বসেছিলেন৷ এমন সময় তিন অভিযুক্তের একজন তাঁকে ইউনিয়ন রুমের বাইরে ডেকে নিয়ে যায়৷ কথায় কথায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়৷ তখন নির্যাতিতা তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, সে আগে থেকেই সম্পর্কে রয়েছে ও আবার ইউনিয়ন রুমে ফিরে আসে৷ এর পর কী কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে?
advertisement
মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী তরুণীর
- গলা ও ঘাড়ে আঁচড়ের দাগ (abrasion marks),
- বুক ও শরীরের ওপরের অংশে গভীর আঘাতের চিহ্ন,
- যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঘাত — এসবই বলপূর্বক নির্যাতনের ইঙ্গিত বহন করছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের চিহ্ন সাধারণত যৌন হেনস্থা অথবা বলপূর্বক যৌন সম্পর্কের ফলেই হয়ে থাকে।
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের হাতে যাবে পরবর্তী পরীক্ষা
মেডিক্যাল পরীক্ষার এই পর্যবেক্ষণের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আরও বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণের জন্য ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে। নির্যাতিতার শারীরিক নমুনা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হবে।
চিকিৎসকের কাছে নির্যাতিতার বয়ান: “জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ”
মেডিক্যাল চেকআপের সময়েও মানসিক ট্রমার মধ্যে ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। চিকিৎসকের কাছে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছিল, এবং সেই সময় তিন অভিযুক্তই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই বয়ান, আঘাতের ধরণ এবং চিকিৎসা পর্যবেক্ষণ মিলিয়ে গোটা মামলার তদন্তে এখন গুরুত্ব পাচ্ছে ফরেন্সিক মেডিসিন রিপোর্ট।
কসবা কাণ্ডে ইতিমধ্যে পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। গত ২৫ জুন ৭:৩০ থেকে ২২:৫০ পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন চলে নির্যাতিতার উপর৷ এমনটাই লেখা রয়েছে নির্যাতিতার অভিযোগপত্রে। ঠিক সেই সময় কলেজের ভিতরে কারা ছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে। অন্যদিকে, নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তদন্তকারী আধিকারিকেরা।