ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা যেদিন বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাটে ছিলেনই না, সেদিন এক ডেলিভারি বয় অর্পিতার ফ্ল্যাটে 'প্যাকেট' ডেলিভারি করেছে। দিনটা ছিল ৩০ মে ৷ আবাসনের নথি বলছে সেদিন ৫ নম্বর ব্লকের ৮-এ নম্বর ফ্ল্যাটে ডেলিভারি করা হয়েছিল প্যাকেট৷ এখন প্রশ্ন, ফ্ল্যাটে যদি কেউ না-ই থাকেন তাহলে কীসের ডেলিভারি? তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন : অর্পিতার কান্নায় কটাক্ষ কুণালের! পার্থর 'ষড়যন্ত্র' দাবি ফুৎকারে ওড়ালেন সৌগত!
তবে কি টাকা ভর্তি প্যাকেট এভাবেই ডেলিভারি বয়দের ছদ্মবেশে পৌঁছে যেতে অর্পিতার ফ্ল্যাটে? এই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাটে কি একইভাবে ( ডেলিভারি বয়দের ছদ্মবেশে ) বিপুল পরিমাণ টাকা মজুত করে রাখা হয়েছিল? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের বন্দর ছুঁয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জলপথে দ্রুত পণ্য যাবে মেঘালয় ও অসমে
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকেই যেখান থেকে রাশি রাশি টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে সেখানে 'ডেলিভারি বয়' দের ঘনঘন আনাগোনা ছিল। তদন্তকারীরা এই তথ্যও জানতে পেরেছেন বলে খবর।আবাসনের গেটে নিরাপত্তীরক্ষীর কাছে যে তথ্য নথিভুক্তির খাতা বা রেজিস্টার থাকে যেখানে ভিজিটররা কে কখন ঢুকছেন আর বার হচ্ছেন তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় ৷ সেই রেজিস্টার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যখন অর্পিতার ফ্ল্যাটে কেউ ছিলেন না, তখন কাদের কাদের আনাগোনা ছিল সে ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। 'ডেলিভারি বয়' দের বেশে প্যাকেটে করে অর্পিতার ফ্ল্যাটে কি ডেলিভারি দেওয়া হত? সেই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে ইডি৷