২রা আগস্ট প্রসেনজিৎ দাসকে ইডি আধিকারিকেরা তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেদিন ইডি মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি জানতে পারে প্রসেনজিৎ দাসের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা আগে থেকেই। এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রিসর্ট গুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিতে যাতায়াত ছিল প্রসেনজিতের। এবছর দোলের আগের দিন প্রসেনজিৎ দলের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুদের নিয়ে বোলপুরের অপা'য় দোল উৎসব কাটিয়ে এসেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : মুখোমুখিতেও মুখে কুলুপ পার্থর? ইডির আড়াই ঘণ্টার 'পার্থ-অর্পিতা' জেরায় যেদিকে ইশারা...
৮০ লক্ষ টাকার বিষয়ে প্রসেনজিৎ দাসকে ইডি আধিকারিকেরা জানতে চাইলে, তিনি জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকায়, ওই পার্লার এবং অফিস কেনার চুক্তি হয়েছিল। কুড়ি লক্ষ টাকা পার্থ বাবু অগ্রিম হিসাবে প্রমোটিং শুরু হওয়ার আগে 'বুকিং মানি' দিয়েছিলেন। পরে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। এখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কুড়ি লক্ষ টাকা প্রসেনজিৎ পায় বলেও দাবি করেছিলেন ইডি র কাছে।
আরও পড়ুন : পুজোর আগেই মিলবে সুখবর? শিক্ষক নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের ঝুলিতে এবার 'বড়' আশ্বাস!
কলকাতা পুরসভার ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ দাস আগে থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই সূত্রের খবর। ফ্ল্যাট বিক্রির ৮০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে জমা করেছিলেন কি প্রসেনজিৎ? সেই মুহূর্তে কেন কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি ইডি আধিকারিকদের কাছে? অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ওই প্রপার্টি বেচার কোনও চুক্তি নামা রয়েছে কি আদৌ? সেটারও কাগজ দেখাতে পারেনি প্রসেনজিৎ। স্বভাবতই বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেনা ইডি। তবে ইডির তরফে তাঁকে বলা হয়েছে পরবর্তী সময় আবার ডাকলে, তিনি যাতে সমস্ত কাগজ নিয়ে যান।