আসুন জানা যাক আইন কী বলছে? ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট হল একটি কেন্দ্রের সংস্থা। এই সংস্থার মূল কাজ হল বেআইনি অর্থের তথ্য নেওয়া। দেশের যে PML ACT রয়েছে যা হল প্রিভেনশন অফ মানি লন্ড্রারিং অ্যাক্ট।এই আইন অনুযায়ী কাজ করে এই দফতর। এই বেআইনি নগদ যা উদ্ধার করা হচ্ছে তা সবটাই যাবে সরকারের কোষাগারে। মূল ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে জমা থাকবে এই বাজেয়াপ্ত টাকা। বিশিষ্ট আইনজীবী সুব্রত ঘোষ বলেন, এই আইন অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত টাকার মালিক সরকার। এই টাকা বাজারের টাকা। সরকারের টাকা। তাকে এক জায়গায় বেআইনিভাবে মজুত করা যায় না। অভিযুক্ত অর্পিতা যদি এই টাকার উৎস দেখাতে পারেন তবে এ টাকা তার। কিন্তু যদি তিনি না দেখাতে পারেন তাহলে টাকা যাবে সরকারি কোষাগারে। এই ধরনের অপরাধের শাস্তিও হয় মারাত্মক। সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন। তাছাড়া এই মামলায় জামিনও হয় না। গতকালই দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে এই অপরাধ জামিন যোগ্য নয়। এ কে বলা হয় economic offence is an calculated offence most of the commuting elite class.
advertisement
আরও পড়ুন: সাদা বিছানায় উত্তাল প্রেম! চোখ মেরে নয়, এবার বিছানায় যৌন ঝড় তুললেন প্রিয়া! ভাইরাল ভিডিও
এ বিষয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক বনকুমার ঘোষের বক্তব্য, এই প্রায় ৫০ কোটি টাকা,যে টাকা বাজারের টাকা তা এক জায়গায় জমা হয়ে পাথরের মতো রইল। ফলে বাজার অর্থনীতির একটা অংশের টাকা কমে গেলে তার প্রভাব রাজ্য তথা দেশের অর্থনীতিতে পড়তে বাধ্য। এতে ক্ষতি হবে চাকরি, শিক্ষা ও শিল্পের। বাজারে অব্যবহৃত ও কুক্ষিগত টাকা অর্থনীতিকেই ধ্বংস করে। আর এর প্রভাব পড়বে সমগ্র অর্থনীতির উপর।
আরও পড়ুন: পাড়ায় অর্পিতার মামা হিসেবেই পরিচিত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ! মুখোপাধ্যায় বাড়ির অজানা খবর ফাঁস!
তাহলে এই টাকার কী হবে? অর্পিতা মুখার্জি এই টাকার উৎস জানাতে না পারলে তা জমা হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে যদি সরকার মনে করে তাহলে এই সমস্ত নোটের নম্বর মিলিয়ে তা আবার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বাজারে ছাড়তে পারে ধীরে ধীরে। আবার সরকার বিশেষ কোনও খাতে উন্নয়নের কাজে এই টাকা ব্যবহার করতে পারে। এখন কবে এই মামলার যবনিকা হয় সেটাই এখন দেখার। পাশাপাশি আরও টাকা উদ্ধার হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
পূর্ণেন্দু মণ্ডল