উল্লেখ্য, বাম আমলে নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর আন্দোলনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ (Arpita Ghosh)। সেই সূত্রে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সেই সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকা বিদ্বজ্জনেদের তালিকায় প্রথম সারিতেই ছিলেন অর্পিতা (Arpita Ghosh)। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তিনি বালুরঘাট থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২০-তে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন অর্পিতা।
advertisement
মঙ্গলবারই সুস্মিতা দেবের নাম রাজ্যসভার সাংসদ পদের জন্য ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। তার মাত্র একদিনের মাথায় অর্পিতা ঘোষের ইস্তফা নতুন করে শোরগোল ফেলে দেয় বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে, তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের তরফ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি অর্পিতাকে। ব্যক্তিগত কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'প্রিয় অভিষেক...', রাজ্যসভা থেকে ইস্তফার কারণ জানিয়ে চিঠি লিখলেন অর্পিতা ঘোষ
সেদিনই তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের কাজে আরও বেশি সময় দেওয়ার কারণেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অর্পিতা ঘোষ। দলের ওই অংশের মতে, অর্পিতাকে আসলে তৃণমূলের 'পূবে তাকাও' নীতিতে কাজে লাগানো হবে। তাই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অর্পিতাকে আরও বেশি করে কাজে লাগানো হবে সংগঠনের কাজে। শুক্রবার সেই জল্পনাই সত্যি হল। দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব দেওয়া হল অর্পিতা ঘোষকে। (Arpita Ghosh Appointed General Secretary)
আরও পড়ুন: অভিষেকের ত্রিপুরা সফর সফল করতে চলছে জোরদার প্রস্তুতি, ব্যাপক প্রচার ডিজিটাল মিডিয়ায়
