এদিন নিজের বাড়িতেই সাংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ''একদিকে কাউন্টডাউন শুরু, একদিকে কাউন্টডাউন শেষ। পাট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে থাকব কী না, সেটা সময় বলবে। যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ, যারা পাশে ছিলেন না, তাদেরও ধন্যবাদ। এখনও যা বলছি, বিজেপিতে থেকেই বলছি। সরকারি ভাবে যখন পরিবর্তন যখন করব, সকলেই জানতে পারবেন।''
advertisement
একইসঙ্গে অর্জুনের সংযোজন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল গড়ার আগে থেকে আমি তাঁর সঙ্গে থেকেছি। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি। কেউ কিছু মেনে না নিলে সেটা তাঁর ব্যাপার।'' অর্জুনের এই সমস্ত বাক্যবাণেই স্পষ্ট, ফুল বদল এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: রবিবারই কি ফুলবদলের দিন? গুঞ্জনে ঘি স্বয়ং অর্জুন সিংয়ের! তুমুল আলোড়ন বঙ্গ রাজনীতিতে
প্রসঙ্গত, অর্জুন সিংয়ের মন ভেজাতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী তাঁর সঙ্গে বারবার বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্জুন সিংকে নিয়ে রহস্য ক্রমেই বাড়ছিল। আর সেই রহস্য চূড়ায় নিয়ে যান খোদ অর্জুনই। শনিবার বিজেপি সাংসদের এক টুইটে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: এবার হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের নামে বিশেষ বদল! বিতর্ক থাকলেও সুফল দেখছে রেল
হিন্দিতে ট্যুইট করে অর্জুন সিং লিখেছিলেন, ''শুনছি আজ সমুদ্র নিজেকে নিয়ে গর্বিত। সেখানে নৌকা নিয়ে যাই চলো যেখানে তুফান এসেছে।'' রাজনৈতিক মহল বলছে, এই একটি ট্যুইটেই অর্জুন সিং বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলবদল আসন্ন। এমনকী কানাঘুঁষো শুরু হয়ে গিয়েছিল, রবিবারই ফের পুরনো দলের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন বিজেপি সাংসদ। সেই সম্ভাবনাকেও কার্যত মান্যতা দিয়ে দিলেন অর্জুন। বিজেপি সাংসদ ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাজনীতির কোনও ফাইনাল হয় না। রাজনীতির কোনও শুরু হয় না। রাজনীতি চলতেই থাকে। সেই চলমান প্রবাহে অর্জুন সিং যে এবার পুরনো দলের সওয়ারি হবেন, তা নিয়ে নিশ্চিত অনেকেই। তৃণমূলে ফেরা নিয়ে যে জল্পনা তাঁকে ঘিরে চলছে, তা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেননি অর্জুন নিজেও। জোর গলায় বলেছেন, 'যদি সত্যিই দল বদল করি, তাহলে তো সকলে জানতেই পারবেন!' আর রবিবার অর্জুনের কথা শুনে সকলেই বলছেন, রবিবারেই ফুল বদল করছেন গেরুয়া সাংসদ।