অর্জুন সিং-কে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে ছিল। শেষমেষ বৃহস্পতিবার তিনি নিজেই ঘোষণা করেন যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। অন্যদিকে, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়া দিব্যেন্দু অধিকারীরও বিজেপিতে যোগদান ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা। তবে আজ দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান পর্ব হলেও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে অর্জুন সিংয়ের আজ ঘরওয়াপসি হল চলেছে দিল্লিতে পদ্মের সদর দফতরে।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দুর জেলায় বড় জয় বিজেপির, উচ্ছ্বাস গেরুয়া কর্মীদের
বাংলার দুই নেতাকে যোগদান করিয়ে অমিত মালব্য বলেন, ”নরেন্দ্র মোদির পরিবার, বিজেপিতে যোগ দিলেন অর্জুন সিং ও দিব্যেন্দু অধিকারী। এই যোগদান পর্ব থেকেই বোঝা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সন্দেশখালির ঘটনায় পীড়িত হয়েছেন এই দুই সাংসদ। তাই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন।”
আরও পড়ুন: তুলে নিয়ে যেতে লাগল দশ জন! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় কী এমন ঘটল!
অমিত মালব্যর সংযোজন, ”পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত। অনেক মন্ত্রী জেল খাটছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বাংলায়। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের ভাল চান, তাঁদের আমরা বিজেপিতে নিয়ে আসব।” অন্যদিকে, শেষমেশ দল বদল করে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ”আজ আমার জীবনে একটি শুভ দিন। আমি বিজেপি পরিবারের সদস্য হলাম আজ থেকে। নরেন্দ্র মোদি সারা দুনিয়ার নেতা। বাংলায় সন্দেশখালিতে মহিলাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা নিন্দার ভাষা নেই।” বিজেপিতে যোগদানের জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দাদা শুভেন্দু অধিকারীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। অর্জুনের মুখেও উঠে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ।