এদিন জোড়া ফুলে ফিরেই অর্জুন জানিয়েছেন,"আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যে ঘরের ছেলে ছিলাম সেই ঘরে ফিরে এসেছি। এই ঘর তৈরি হওয়া থেকে ছিলাম। মাঝখানে একটা ভুল বোঝাবুঝিতে আমি বিজেপিতে যাই। আমি ওখানে সাংসদ হই। কিন্তু আমি আবার ফেরত এলাম। আমার সাংসদীয় এলাকায় একাধিক জুট মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অনেকবার বলেছি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী গত নভেম্বরে পাট শিল্পের দুরবস্থা নিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। আমিও তার পর সরব হই৷ একাধিকবার চিঠি দিয়েছি টেক্সটাইল মন্ত্রককে। এর পরে সামান্য কিছু আদায় করতে পেরেছি। ৭৫% আদায় করতে পারিনি। দাবি আদায় করতে না পারলে শিল্পের ক্ষতি হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন : তৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিং! অবশেষে 'ফুলবদল' ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতরে...
অর্জুন সিং আরও বলেন, "ফেসবুক থেকে সংগঠন করা যায় না। আমি ছোটবেলা থেকে যে ভাবে সংগঠন করেছি তার সাথে এটা মেলে না। এর পরে আমি কথা বলেছি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাদের ক্লিয়ারেন্স পেয়ে আমি এসে আজ এখানে যোগদান করলাম। তৃণমূলের দুই সাংসদ এখনও আছে ওখানে। কই তারা তো ইস্তফা দেননি। আগে তারা ইস্তফা দিন। আমার ইস্তফা দিতে এক ঘণ্টা লাগবে। দিল্লি যেতে যা সময় লাগে তার আগে ইস্তফা দেব। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে রাজনীতি হয় না। ফেসবুকে রাজনীতি হয় না। এই তো জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমার পাশে বসে আছেন। আমরা এক সঙ্গে অনেক লড়াই করেছি। কতজনকে আমরা হারিয়েছি। কিন্তু আমরা এক সঙ্গে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।"
আরও পড়ুন : "কৌরবদের মধ্যেও পাওয়া গেলে...", অর্জুন প্রসঙ্গেই কি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট অনুপমের? যা লিখলেন
একইসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর প্রসঙ্গ তুলে এদিন 'ঘরে ফেরা' অর্জুন সিং বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে ভারতবর্ষে খুব তাড়াতাড়ি বড় লড়াই শুরু হচ্ছে আপনারা কয়েকদিনেই দেখতে পাবেন। দুই সাংসদ তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে এখনও ওখানে আছে। আগে তারা ইস্তফা দিয়ে আসুক। আমি ইস্তফা দিয়ে ভোটে চলে যাব। আমার ছেলে আজ অসুস্থ তাই আসতে পারেনি। ও চলে আসবে শীঘ্রই।মুখ্যমন্ত্রী যেদিন ডাকবেন সেদিন চলে যাব। ওনার আদেশ, নির্দেশ ছাড়া কিছু হয় না। বাংলায় বিজেপির জেতা অত সহজ নয়। বাংলার বাইরের বিজেপি আর এই রাজ্যের বিজেপি এক নয়।"
প্রসঙ্গত, অর্জুন সিং দলে ফিরে আসায় ব্যারাকপুর নিয়ে বাড়তি অক্সিজেন পেল তৃণমূল কংগ্রেস৷ আর তাই তাঁকে সঙ্গে নিয়েই আগামী ৩০ তারিখ শ্যামনগরে সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।