আর্মেনিয়ান ঘাট তৈরি করেছিলেন একজন বিত্তবান আর্মানি। নাম ম্যানুয়েল হাজারমালিয়াঁ। এই ঘাটের পাশ থেকে স্টিমার ছেড়ে পৌঁছে যেত তমলুক, কোলাঘাট, ঘাটাল। এখন অবশ্য সেসবের চিহ্ন নেই। এই ঘাটটির পাশে একসময় ছিল বিবি রসের ঘাট। প্রাচীন কলকাতার মানচিত্রে এই ঘাটের কথা মেলে। এই অঞ্চল থেকে ১৮৭৩ সালে প্রথম ট্রাম চলা শুরু করে। ঘোড়ায় টানা ট্রাম শিয়ালদহ- ডালহৌসি-কাস্টমস হাউজ হয়ে পৌঁছত আর্মেনিয়ান ঘাটে। বিবি রসের ঘাটের পারে নাকি একদা ছিল ব্যারেটো ঘাট৷ পর্তুগিজ মহাজন ব্যবসায়ী জোসেফ ব্যারেটোর নামাঙ্কিত। তাঁর নাকি ব্যাঙ্ক ও বসতবাড়ি ছিল ম্য়াঙ্গো লেনে। স্ট্র্যান্ড রোড তৈরির সময় সে ঘাট লুপ্ত হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - ২০১৯-এর পর বিজেপি, ’২১-এ ফের তৃণমূলে, রাজনীতিতে বর্ণময় চরিত্র অনুব্রতর ভাই সুমিত
আরও পড়ুন - মেগা অভিযানের প্রস্তুতি ? ১৬০ জনকে ১০টি দলে ভাগ করে ইডি আসছে রাজ্যে, থাকবে না ফাঁক
আর্মেনিয়ান ঘাট পেরিয়ে মতিলাল শীলের ঘাট। ‘কীর্তিবাস কলকাতা’ - তারাপদ সাঁতরার লেখার সূত্রে যার খোঁজ মেলে। আর্মেনিয়ান ঘাটের কাছে বন্দরের নিজস্ব জমিতে তৈরি হবে ক্রুজ টার্মিনাল ও বাণিজ্য কমপ্লেক্স। পাশে স্ট্র্যান্ড রোজ ও হাওড়া ব্রিজ। উল্টো দিকে হাওড়া স্টেশন। জলপথে স্টেশনে পৌঁছনো যায়। পাশ দিয়ে গিয়েছে চক্র রেলের লাইন। ঘাটের পাশে রয়েছে পুরোনো ওয়্যারহাউসের জমি। একটি পরিত্যক্ত জেটিও আছে। প্রস্তাবিত বাণিজ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার জন্য স্ট্র্যান্ড রোডের ১৭.৫ মিটার চওড়া রাস্তা পাওয়া যাবে।
পুরোটাই হবে পিপিপি মডেলে। প্রকল্পের ব্যয় বহন করবে বেসরকারি সংস্থা। ৩০ বছরের জন্য বন্দরের জমি লিজ দেওয়া হবে। ভাড়া হিসাবে অন্তত ৬২ কোটি টাকা দিতে হবে সংস্থাকে। বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, "পরিকাঠামো গঠনে সুবিধা আছে ওই স্থানে। এ ছাড়া জলপথ, রেল, মেট্রো, বাস, ট্যাক্সি-সহ একাধিক পরিবহণ মিলবে। তাই ক্রুজ টার্মিনাল বানিয়ে আমরা ওই এলাকার চেহারা বদলাব। গঙ্গার ধার মানুষের বরাবর প্রিয়। সেটাকেই নয়া রুপে আমরা শীঘ্রই হাজির করছি।"
আবীর ঘোষাল