এদিন বিকেল ৪টে ২৭ মিনিটে আদালতে তোলা হয় আরাবুলকে। তৃণমূল নেতাকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ৷ তারই সওয়াল করতে গিয়ে আরাবুল ইসলামের আইনজীবী বলেন, ‘‘পুলিশ সুয়োমোটো অভিযোগ করেছে, ঘটনাযর দিন ১টা১৫মিনিট নাগাদ আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করছিল। এলাকায় ১৪৪ ধারা ছিল। তার পরেও প্রায় ৩০০০ মতো লোক ছিল। পরে ওই ঘটনায় আরও দুটো এফআইআর হয়।’’
advertisement
আরও পড়ুন: স্লগ ওভারে জমিয়ে মাঠে নামছে শীত…শৈত্যপ্রবাহে কাঁপবে এই ৮ জেলা! রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাসও
আরাবুলের আইনজীবীর দাবি করেন, ‘‘পুলিশ চাইলে আগে গ্রেফতার করতে পারত। ঘটনার দিন আরাবুল বিডিও অফিসে বসেছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে দেখতে পারেন। উনি জনপ্রতিনিধি। উনি পরিচিত মুখ। ওঁর প্রাণ সংশয় হয়েছিল। ওঁর গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে বোমা রেখে ওঁকে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। আপনি কি মনে করেন ওঁর মতো পরিচিত মুখ জনতা জড়ো করে এমন ঘটনা ঘটাবেন! কেন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হল না? ভাঙড় বিডিও ২ এর অফিসে ওই দিন সারাদিন বসে ছিলেন। কেন ওই সময় পুলিশ গ্রেফতার করল না?’’
এরপরেই আইনজীবী জানান, ‘‘উনি তিন বারের বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। উনি অসুস্থ। ট্রিটমেন্ট চলছে। আমরা জামিন চাইছি না। জেল হেফাজতে রাখা হোক।’’
আরও পড়ুন: এবার বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্য সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ! স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনল তৃণমূল
তবে, সরকারি আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, ‘‘ ২৫/২৭ অস্ত্র আইন। ইএস অ্যাক্ট। এই ধারাগুলো দেখুন। ওঁর কী যোগসূত্র তদন্তে উঠে এসেছে, এঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তা কেস ডায়েরিতে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় একজন মারা গিয়েছে। যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল তার কী কোনও লাইসেন্স ছিল?’’ যদিও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন আরাবুলের আইনজীবী৷
দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে আরাবুল ইসলামকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই দিন ফের আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷