ব্রেন ডেথের পর অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে রাজ্যে বাড়ছে সচেতনতা। এই আবহেই অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। গত সতেেরাই অগাস্ট ব্রেন ডেথ হয় শিলিগুড়ির মল্লিকা মজুমদারের। ওই কিশোরীর একটি কিডনি পান খড়দহের মৌমিতা চক্রবর্তী, অপরটি প্রতিস্থাপিত হয় সোদপুরের সন্দীপ দাসের শরীরে। তবে লিভার প্রতিস্থাপন ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত।
মল্লিকার লিভার বসে হায়দরবাবাদের রমাকান্ত নায়েকের দেহে। রমাকান্তকে চেন্নাই অ্যাপোলো থেকে কলকাতায় আনা হয়। অভিযোগ ওঠে, লিভার প্রতিস্থাপনে অনিয়ম হয়েছিল।
advertisement
নিয়ম অনুযায়ী, যে হাসপাতালে রোগীর ব্রেন ডেথ হয়েছিল সেখানে কারও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের দরকার হলে তিনিই অগ্রাধিকার পাবেন। সেখানে কোনও রোগী না থাকলে রাজ্যের অন্য সরকারি হাসপাতালে দেখা হবে। তারপর দেখা হবে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলি। তারপর পালা রাজ্যের বাইরের অন্য হাসপাতাল। এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। এসএসকেএম হাসপাতালে মল্লিকার ব্রেন ডেথের পর ওই হাসপাতাল থেকেই এক রোগীর নাম পাঠানো হয়। কিন্তু তাঁর শরীরে মল্লিকার লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়নি। লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় চেন্নাই অ্যাপোলোয় ভর্তি রোগীর শরীরে।
ঘটনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত নোডাল অফিসার অদিতি কিশোর সরকারকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বেসরকারি হাসপাতালকে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে শুক্রবার রোটোর বৈঠকে তলব করা হয় অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষকে। তাদের প্রতিনিধি সদুত্তর দিতে না পারায় শোকজ করা হয়। সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ঠিকঠাক জবাব না পেলে অ্যাপোলোর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
প্রতিস্থাপন বিতর্ক নিয়ে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষর দাবি, তাঁদের শোকজ করা হয়নি, ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাঁরা রোটোকে লিখিত ব্যাখ্যা দেবেন।
সপ্তমীর দিন অ্যাপোলোয় এক রোগীর ব্রেন ডেথ হয়। অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে তখনও অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন-'পিয়ারলেস ইন'-এর রুম থেকে উদ্ধার যুবকের গলাকাটা মৃতদেহ