সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত। এড়িয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীদের প্রশ্ন। ফলে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে তাঁর সম্পত্তির হদিস পেতে এমনই মত গোয়েন্দাদের। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের আয়ের ও বিপুল সম্পত্তির কোনও সামঞ্জস্য নেই, গরুপাচারের চক্রের সঙ্গে যোগসাজস-সহ একাধিক দাবিতে গত ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিনই আদালত ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নগদে ৫ কোটি ৬৩ লাখ, সঙ্গে ৪৬ লাখের গাড়ি! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বীরভূমের ব্যবসায়ী
সূত্রের খবর, কেষ্ট মণ্ডলকে হাতে হেফাজতে পাওয়ার পর থেকে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরতে একদিকে যেমন তল্লাশি চলছে, পাশাপাশি দেহরক্ষী সায়গল হোসেন থেকে শুরু করে অন্যান্যদের কাছ থেকে পাওয়া বয়ান এবং নথিপত্র সামনে রেখেও দফায় দফায় জেরা করে অনুব্রতর থেকে তথ্য হাতে পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। CBI সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের বিশেষ সহযোগিতা করেছেন না অনুব্রত। তাই তাঁকে আরও জেরা প্রয়োজন বলে দাবি গোয়েন্দাদের। অন্যদিকে, আজ অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানাবেন আদালতে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। জমি-রাইসমিল-দামি দামি গাড়ি ছাড়াও যে সব সম্পত্তির তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দার, তার বাইরে গিয়ে নামে-বেনামে, ঘনিষ্ট থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজনের নামে আরও অনেকব্যাঙ্ক ইনভেস্ট আছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। দুর্নীতির টাকা কোথায় কোথায় কীভাবে লগ্নি করা হয়েছে, তা জানতে মরিয়া গোয়েন্দারা।