তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতিকে জেরা করা ও হেফাজতে রাখার সময় অবশ্যই সেগুলি মেনে চলতে হবে সিবিআইকে। আদালতের নির্দেশ, কোনও ভাবে মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না অনুব্রতকে। প্রয়োজনে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সেখানকার এমডি মেডিসিন, এমএস মেডিসিন এবং এমডি কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গড়ে অনুব্রত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে। প্রতি ৪৮ ঘন্টায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে ধৃত তৃণমূল নেতার।
advertisement
আরও পড়ুন: বাধা পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকেই অবাক সিবিআই! অনুব্রত যা করলেন, সিনেমাও হার মানবে
আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ গতকালই দিয়েছে আদালত। প্রতিদিন ৩০ মিনিট অনুব্রত তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতিও পেয়েছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, হেফাজতে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ছোট একটি খাট দেওয়া হয়েছে। খাবার দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসকের দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনেই। কারণ অনুব্রত মণ্ডল বিভিন্ন দিক থেকে শারীরিক ভাবে অসুস্থ।
আরও পড়ুন: আর পথ নেই পার্থর! এক নথিতেই সব ফাঁস, পরিবারের দিকে চোখ দিতেই চক্ষু চড়কগাছ ইডি-র
সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল রাতে নিজাম প্যালেসে আসার পর কিছু হাল্কা খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। সময় মেনে ওষুধও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই জেরা শুরু করা হয়েছে অনুব্রতকে। অভিযোগ, বীরভূমকে পাচারের ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করেছেন অনুব্রত। সিবিআই জানতে চায়, কীভাবে গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল? বিনিময়ে কত টাকা নিয়েছেন? কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অনুব্রত মণ্ডল কি তদন্তে সহযোগিতা করবেন?
অনুপ চক্রবর্তী