এসএসকেএম-এ আসতে পারছেন তাহলে সিবিআই অফিস নিজামে কেন আসতে পারবেন না। এই সওয়াল অনুব্রত মণ্ডলকে প্রভাবশালী তকমায় বিদ্ধ করবে মনে করছে সিবিআই। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে অনুব্রত মণ্ডল রক্ষাকবচ মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ডিভিশন বেঞ্চ। শীঘ্রই রায়দান হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। বুধবার শুরুতেই অনু্ব্রত মণ্ডল এর আইনজীবী মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিবেক তানখা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা আপিল মামলায় সওয়ালে জানান, বিভিন্ন সময় নোটিস পাঠানো হয়েছে। আমার মক্কেল নিজামে গরহাজিরার কারণ দেখিয়ে তার জবাব দিয়েছে। আমি হাজিরার জায়গা পরিবর্তন চাই। আমার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের কারণ দেখিয়ে সিবিআই কে চিঠি দিয়েছি।
advertisement
আরও পড়ুন: সুব্রতর সেই 'ছোকরা' এ কোন ভূমিকায়! একডালিয়ায় বাবুলের 'কীর্তি'তে অবাক সকলে
তাঁর সংযোজন, ''ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার নোটিসে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে তাই কোনও কিছু করতে পারেনি। তাই দ্বিতীয় নোটিস দিয়েছে। এবার আরও একটি অভিযোগ । এইভাবেই সিবিআই নিজেদের প্রভাব খাটাচ্ছে।এটাকি তদন্ত না তদন্তের নামে হেনস্থা করা। আমি তো সাক্ষী গরুপাচার মামলায়। কোনও মুল অভিযুক্ত নয়। তাহলে আমি যখন ২০০ কিমি দূরে না গিয়ে বাড়ির কাছাকাছি হাজিরার জায়গা নির্ধারণ করতে বলছি সেখানে সিবিআইয়ের আপত্তি কেন থাকবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় নোটিস দিয়েছে সিবিআই। আমি ২১ ফেব্রুয়ারি তার উত্তরও দিয়েছি। এইভাবেই একটার পর একটা কেস দিয়ে আমায় টানাহেঁচড়া করছে এবং নোটিস দিচ্ছে যার কোনও যৌক্তিকতা নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারার নোটিস, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী হওয়ার নজির রয়েছে একাধিক। কারণ এই নোটিস দিয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমাকে গ্রেফতারও করতে পারে। ফলে আমার স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার রক্ষা নাও হতে পারে সিবিআই এর সিআরপিসি ১৬০ ধারার নোটিসের প্রেক্ষিতে।অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচ দরকার। আমি নিরাপদ নই। সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার খর্ব হতে পারে সিবিআই নোটিশে।''
আরও পড়ুন: মদের সঙ্গে এ কী মেশানো হল, পরপর মৃত্যু চার জনের! বারুইপুরে হাড়হিম ঘটনা
CBI আইনজীবী এম ভি রাজু আদালতে জানান,ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারার নোটিস সিবিআই তদন্ত প্রক্রিয়ার অঙ্গ। এটা সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নির্দেশিকায় বারবার আইনি মান্যতা পেয়েছে। আবেদনকারীর যদি কোনও ভয় থাকে উনি আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারতেন। এই রক্ষা কবচের আবেদন কখনোই গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না। সিবিআই নোটিশ ১৫ মার্চে হাজিরার জন্য দেওয়া হয় আর আজ ১৬ মার্চ। এই নোটিশের ওপর আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নেই। বারবার তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়াছেন। তিনি স্বাস্থের কথা বলছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করছেন। তার ছবি ও নথি আদালতে জমা করলাম। দেখুন মাস্ক এর ব্যবহার উনি করেন নি। আর বলছেন অসুস্থ! তার ফেস বুক অ্যাকাউন্টও এই ছবি ছিল। উনি কলকাতার দলীয় সভায়ও যোগ দিয়েছেন। আর উনি স্বাস্থ্য আর করোনা যে যুক্তি দিচ্ছেন সেটা সঠিক নয়।অনুব্রত মণ্ডল কে যতবার নোটিস দেওয়া হয়েছে সে ততবারই চিঠি দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছে।