অন্যদিকে, তিহাড় জেলে দ্বিতীয়বার দেখা হয় অনুব্রত ও সুকন্যার। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা হয় দুজনের। মেয়ের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অনুব্রত! মেয়েকে বলেন, “তোর দিল্লি আশা উচিত হয়নি৷” উত্তরে সুকন্যা জানান, “বারবার নোটিস পাঠাচ্ছিল কী করব?”
advertisement
মেয়েকে এদিন আশ্বাসও দেন অনুব্রত৷ বলেন, ‘‘চিন্তা করিস না, সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ সুকন্যা তাঁর বাবাকে এ-ও জানান যে, গ্রেফতারির আগে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন৷ এমনকি, কাস্টডি থাকাকালীনও বাবার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন সুকন্যা৷ কিন্তু, তাঁর সেই আর্জি মানা হয়নি৷
বাবার-শরীর স্বাস্থ্যেরও খোঁজ নেন সুকন্যা। কেষ্টকে সময় মতো ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন মেয়ে৷ মেয়ে সুকন্যাকে দেখেই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কেষ্ট। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন।
অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। পরে ইডি তাঁকে হেফাজতে নিয়ে দিল্লি নিয়ে যায়। এরপর, তিহাড় জেলে অনুব্রতকে পাঠানো হয়। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও পরে গ্রেফতার করে ইডি। তিনিও এখন তিহাড় জেলেই রয়েছেন।
ARPITA HAZRA