এদিন শুনানির আগে অনুব্রত তাঁর আইনজীবীদের জানান, তার ডান পায়ে ব্যাথা, পা ক্রমশ সরু হয়ে যাচ্ছে। এদিনও হুইলচেয়ারে আদালতে এসেছিলেন অনুব্রত।
কোর্ট রুমে মনীশ কোঠারির সঙ্গে কথা বলতে চান অনুব্রত। কিন্তু নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে এসে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন সদ্য জামিনপ্রাপ্ত মনীশ। এদিকে জেলে হাতে আঘাত পেয়েছেন সায়গল হুসেন। হাতে ব্যান্ডেজ করে কোর্টরুমে এসেছিলেন সায়গল।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘রবি রাতে মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে…’ তোলপাড় ফেলা দাবি শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারি জামিন পেতেই প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কেষ্টও শীঘ্রই জামিন পাবেন? গ্রেফতার হওয়ার পর মণীশ কোঠারি বলেছিলেন, ‘আমি কিছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়া।’ ২০১৩–১৪ সাল থেকে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বোলপুরের বাসিন্দা মণীশ কোঠারি। তারপরই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
আরও পড়ুন: খুব ইচ্ছে ছিল পার্থর, বাধ সাধেন জ্যোতিপ্রিয়! গ্রেফতার দুই নেতার ‘লড়াইয়ে’ নেত্রী হওয়া হল না অর্পিতার
এরই মধ্যে জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে সিবিআই-এর আইনজীবী এস ভি রাজু আদালতে বলেন, ‘অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে এলে যা ইচ্ছে তাই করবেন, ক্ষতি হবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে।’ মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী।
এর আগে আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কেষ্ট মণ্ডল। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হল না। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের জামিনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।