এদিন সংবাদমাধ্যমে এবং আইনজীবীকেও অনুব্রত জানিয়েছেন, তিনি ভালো নেই। তিহার জেল থেকে অনুব্রতর বিস্তারিত মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলে পাঠানোর আবেদনের শুনানি রয়েছে ৮ মে।
আরও পড়ুন: এই প্রথম, অভিষেককে ঘিরে বিরাট পরিকল্পনা তৃণমূলের! দেখা যাবে বেনজির দৃশ্য
advertisement
দিল্লি হাইকোর্টে সেই শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন জানাতে চলেছেন অনুব্রতর আইনজীবী। পাশাপাশি দিল্লির পরিবর্তে প্রয়োজনে কলকাতায় ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করতে চলেছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। প্রসঙ্গত, বীরভূমের কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১৭৭টি বেনামি আকাউন্টের হদিশ মিলেছিল আগেই। তারপর আরও ৫৪টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ঘুরপথে কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে গিয়েছে সেই টাকা। এমনকী ২০০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে, যার গ্রাহক একজনই।
আগামী ৫ মে কেষ্ট মণ্ডলের এই আবেদনের শুনানি করবে রউজ অ্যাভিনিউ আদালত। এদিন আদালত থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিক অসুস্থতার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আমি ভাল নেই', এর আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমার শ্বাসকষ্ট রয়েছে।’ দু’দফায় ইডি হেফাজতে থাকার পর অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নয়াদিল্লির সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পরই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। এখন তাঁকে নিয়মিত ইনহেলার এবং নেবুলাইজার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ বলে সূত্রের খবর। এবার সেই শারীরিক অসুস্থতার কথাই বলেন তিনি।