এদিন ঠিক কী ঘটল আদালতের ভার্চুয়াল শুনানিতে? বিচারক: কেমন আছেন? অনুব্রত : শরীর ভাল নেই। বিচারক: আসানসোল জেলে ফেরার যে আবেদন করেছিলেন সেটার বিচার হয়ে গেছে? অনুব্রত: সেটা চলছে। আপনি চেয়ে নিতে পারেন। বিচারক: কিছু সমস্যা থাকলে বলুন। অনুব্রত : এমনি সব ঠিক আছে। বিচারক: সাইগাল? শরীর ঠিক আছে? অনুব্রত: CBI কেসে বেল দিয়ে দিন। এসব ফলস কেস। বিচারক: আমি কী বুঝি আর কী জানি তার ভ্যালু নেই, কাগজ শেষ কথা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'এটা কী বলুন তো..', সুকন্যাকে জিজ্ঞেস করে ইডি! উত্তর না মেলাতেই সঙ্গেসঙ্গে গ্রেফতার!
আদালতে অনুব্রতর আর্জি সূত্রেই মনে করা হচ্ছে মেয়ের গ্রেফতারির খবর এখনও কানে পৌঁছায়নি তাঁর। এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেল থেকে আসানসোল জেলে স্থানান্তর করার আরজির শুনানি আজ হবে দিল্লির রউজ অ্যাভিনিউ আদালতেই। সেখানেই আবার এদিনই তোলা হবে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও।
আরও পড়ুন: কেন মোবাইল পুকুরে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ? কাকে বাঁচাতে? দ্বিতীয় মোবাইল খুলতেই বুঝে গেল সিবিআই
এর আগেই জানা গিয়েছিল, দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন করতে চলেছেন অনুব্রতর আইনজীবী। আগামী ৫ মে কেষ্ট মণ্ডলের এই আবেদনের শুনানি করবে রউজ অ্যাভিনিউ আদালত। যদিও এর আগে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিক অসুস্থতার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আমি ভাল নেই', এর আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমার শ্বাসকষ্ট রয়েছে।’ দু’দফায় ইডি হেফাজতে থাকার পর অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নয়াদিল্লির সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পরই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল। এখন তাঁকে নিয়মিত ইনহেলার এবং নেবুলাইজার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে মেয়ের গ্রেফতারি তাঁর উপর কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার।