প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় প্রথম জামিন মিলেছে ইতিমধ্যেই। জামিন পেয়েছেন অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। কিন্তু জামিন চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও। দিল্লি হাইকোর্টে তা খারিজ হয়ে যায়। সুতরাং তিহাড় জেলেই কাটতে চলেছে সুকন্যা মণ্ডলের দুর্গাপুজো। অনুব্রত মণ্ডলও এখন তিহাড় জেলে বন্দি।
আরও পড়ুন: আচমকা ছুটে এল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, দুই শিশু সহ ৩ জনের মৃত্যুর অভিযোগ! হুগলির গোবরায় তুলকালাম
advertisement
বাবা–মেয়ে সেখানেই দুর্গাপুজো কাটাবেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে কেষ্টর হিসাবরক্ষকের। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারের কয়েকদিন পরই নয়াদিল্লিতে তলব করা হয় মনীশ কোঠারিকে। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশেষে জামিন পেয়েছেন কেষ্টর হিসাবরক্ষক।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ‘বিগ ডে’র আগে জোর প্রস্তুতি! বাসে, ট্রেনে, প্লেনে দিল্লি পৌঁছচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি জামিন পেতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেষ্ট কবে জামিন পাবেন? গ্রেফতার হওয়ার পর মণীশ কোঠারি বলেছিলেন, ‘আমি কিছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়া।’ ২০১৩–১৪ সাল থেকে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বোলপুরের বাসিন্দা মণীশ কোঠারি। তারপরই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। সেই তিনি জামিন পেয়েছেন। ফলে অনুব্রতক জামিন নিয়েও নানা জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু এরই মধ্যে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চার জনকে ইডির তলব নতুন করে চাপ বাড়াল কেষ্টর উপর।