অভিযোগ, গরুপাচারকারীরা সায়গলের ফোনের মাধ্যমেই কথা বলত অনুব্রতর সঙ্গে। ইডি সূত্রে খবর, এ কথা জেরার মুখে নিজেই স্বীকার করেছেন সায়গল। এমনকি একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, নেতা, পুলিশ অফিসাররাও অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকেই ফোন করতেন, দাবি সায়গলের। চার্জশিটে সায়গল ও গরু পাচারকারীদের সঙ্গে কথোপকথনের কল রেকর্ডও জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু, কাকে ধরল পুলিশ? তুমুল চাঞ্চল্য
ইডির তরফে আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে, অনুব্রতর প্রত্যক্ষ মদতেই গরুপাচার করা হত বাংলাদেশে। ইডি-র চার্জশিটে এই অভিযোগও তোলা হয়েছে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ইডি দাবি করেছে, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে একটি টোকেন দেওয়া হত।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় দুর্নীতি, হাই কোর্টের বিরাট নির্দেশ! আরও এক ‘বিপর্যয়ের’ ইঙ্গিত
একটি সিন্ডিকেট ছিল, যারা এই টোকেন দিত। কোথাও ট্রাক আটকালে, সেই টোকেন দেখালেই পাচারের সবুজ সংকেত মিলত। এই মর্মে ‘সঠিক’ জায়গায় আগে থেকেই কথা হয়ে থাকত এনামুল হকের। গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তিহাড় জেলেই ঠাঁই হয়েছে তাঁর। মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার তাতে অনুমোদন মিলেছে। তবে তদন্তকারীদের দাবি, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানা ছিল সুকন্যার।