সেই অনুযায়ী, বুধবার ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় অনুব্রত মণ্ডলের। নিয়ে যাওয়া হয় রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। গতকাল মাঝরাতে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে নজিরবিহীন শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর ৩টি আর্জি মেনেও নিয়েছেন বিচারক। সেগুলি হল---
১) ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে উপস্থিত থাকতে পারবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
২) প্রতিদিন আধঘন্টা আইনজীবীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দিতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
advertisement
৩) প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! রাজ্যের শিক্ষায় যুক্ত হতে চায় ইউনেস্কো, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি!
তবে, টানা ১৯ ঘণ্টার ধকলের পরেও দিল্লি গিয়ে প্রথম রাতে দু' চোখের পাতা এক করতে পারেননি অনুব্রত মণ্ডল। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সারারাত প্রায় জেগেই কাটিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। এমন কি, দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরের লক আপের ভিতরে তাঁকে পায়চারিও করতে দেখা গিয়েছে। তবে এ দিন সকালে চা বিস্কুট খেয়েছেন তিনি৷ খেয়েছেন জলখাবারও৷
আরও পড়ুন: দিল্লি গিয়েই ঘুম উড়ল অনুব্রতর, লক আপে পায়চারি করেই কাটল প্রথম রাত
মঙ্গলবার গভীর রাতের শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলকে তিন দিনের জন্য ইডি হেফজাতে পাঠিয়েছেন বিচারক রাকেশ কুমার৷ বুধবার এমনিতে দিল্লিতে হোলির ছুটি৷ ফলে শুনসান ইডি-র সদর দফতরও৷ কিন্তু শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার জন্যই ইডি দফতরে পৌঁছন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ কুমার এবং তাঁর দুই সহযোগী৷