মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে ইডির সদর দফতর প্রবর্তন ভবনেই ছিলেন অনুব্রত। তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল আলাদা একটি ঘর। গতকাল বিমানবন্দরে শারীরিক অসুবিধার কথা জানিয়েছিলেন। তাই বুধবার সকালেও ফের তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। জানা গিয়েছে, সকালে নাকি চা-বিস্কুট হাতে নিয়ে বাংলা খবরের কাগজের খোঁজ নিয়েছিলেন কেষ্ট। কিন্তু, তৃণমূলনেতার সেই ইচ্ছে পূরণ করা যায়নি। গতকাল ছিল দোল। ছাপা হয়নি কোনও কাগজ। তাই বাংলা কাগজ না পড়েই দিন শুরু করতে হয়েছে অনুব্রতকে। এছাড়া, এদিন বাড়িরও খোঁজখবর নেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: খেয়াল করেছেন! বাজার থেকে কমে যাচ্ছে পুরনো ৫ টাকার কয়েন, কেন বলুন তো?
চা-বিস্কুটের পরে কেষ্টকে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো হাল্কা ব্রেকফাস্ট দেওয়া হয়। রুটি-তরকারি দিয়ে প্রাতঃরাশ সেরে তৈরি হয়ে যান সারাদিনের প্রশ্নোত্তরের ঝড় সামলানোর জন্য।
আরও পড়ুন: সাইকেল বা বাইকের পিছনে কেন দৌড়য় কুকুর? বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানেন কি?
দিল্লিতে নিয়ে জেরা করলে অনুব্রতর উপরে চাপ অনেকটাই বাড়ানো যাবে বলেই মত ছিল ইডি কর্তাদের৷ নিজের পরিচিত চারপাশ থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অপরিচিত পরিবেশে অভিযুক্তকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা থাকে বলে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দা। দীর্ঘ আইনি এবং প্রশাসনিক টানাপড়েনের পরে অবশেষে সেই সুযোগ পেয়েছে ইডি। এবার গরুপাচার কণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হক এবং কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে সামনে বসিয়ে ত্রিমুখী জেরা করবেন তাঁরা। দেখা যাক, গরু পাচার কাণ্ডে আর কোন নতুন কী তথ্য সামনে আসে।
